ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের ২২তম সম্মেলনে যোগ দিতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জড়ো হয়েছেন দলটির কাউন্সিলররা।
এ সম্মেলনের মধ্য দিয়ে দলের নেতৃত্ব নির্বাচনে সভাপতি শেখ হাসিনার ওপরই ভরসা রাখতে চান তারা।
ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে আওয়ামী লীগের ২২তম জাতীয় সম্মেলন উদ্বোধন করেন দলের সভাপতি শেখ হাসিনা।
এর আগে সকাল থেকেই সম্মেলনেস্থলে আসতে শুরু করেন বিভিন্ন জেলার কাউন্সিলর, ডেলিগেট ও অতিথিরা। এ ছাড়া সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও আশপাশের এলাকায় আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের উপস্থিতিও ছিল ব্যাপক। সম্মেলনস্থলের প্রবেশপথগুলোতে দেখা যায় দীর্ঘ সারি।
আওয়ামী লীগের এবারের সম্মেলনে নেতা-কর্মীদের আগ্রহ মূলত সাধারণ সম্পাদক পদ নিয়ে। এ পদে কে আসছেন, তা নিয়ে চলছে নানা জল্পনা, তবে অন্য পদগুলোতেও পরিবর্তন আসতে পারে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
গত কাউন্সিলে যারা নেতৃত্বে এসেছিলেন, তাদের মধ্যে কয়েকজন বাদ পড়তে পারেন বলেও ধারণা করা হচ্ছে।
আওয়ামী লীগের শ্রম ও জনশক্তিবিষয়ক উপকমিটির সদস্য শহীদুল ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমরা নেতৃত্ব নির্ধারণের বিষয়ে দলীয় প্রধান শেখ হাসিনাকে দায়িত্ব দেব। তিনি যাকে নেতা বানাবেন, সে নেতা হবে। কারণ এ দলের জন্য তিনি অনিবার্য।’শরীয়তপুরে থেকে আসা কাউন্সিলর আবদুর রাজ্জাক বলেন, ‘দলের প্রধান যা মনে করবেন, সেটাই দলের জন্য ভালো হবে।’
জয়পুরহাট থেকে এসেছেন দলের কাউন্সিলর আবদুল মজিদ মোল্লা। কেমন নেতৃত্ব চান জানতে চাইলে তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘দলের প্রধান যাকে মনোনীত করবেন, তিনি নেতৃত্বে আসবেন। আমরা এটাই চাই।’দলের সাধারণ সম্পাদক পদে পরিবর্তন চান কি না জানতে চাইলে মজিদ বলেন, ‘আমাদের নেত্রী অনেক বিচক্ষণ নেতা। তিনি যাকে নেতা নির্বাচন করবেন, তার ইচ্ছার প্রতি সব কাউন্সিলরের বিশ্বাস ও আস্থা আছে।’
নেত্রকোণা জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক দপ্তর সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম বলেন, ‘শুধু আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী নন; এ দেশের ১৬ কোটি মানুষ শেখ হাসিনাকে দলীয় প্রধান হিসেবে দেখতে চান।
‘তিনি যাকে দলের জন্য যোগ্য বলে মনে করবেন, তাকেই দলের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচন করবেন। দলের সব কাউন্সিলর ও ডেলিগেটদের এটাই প্রত্যাশা।’