রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগের ২২তম জাতীয় সম্মেলন উদ্বোধন করেছেন দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে নিয়ে শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে পায়রা উড়িয়ে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন তিনি।
১০টা ২৮ মিনিটে সম্মেলনস্থলে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী। ওই সময় কাউন্সিলর ও প্রতিনিধিরা দাঁড়িয়ে সম্মান প্রদর্শন করেন দলের সভাপতিকে।
পরে জাতীয় সংগীতের মূর্ছনায় দেশের পতাকা উত্তোলন করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি। আর দলীয় পতাকা উত্তোলন করেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তারপরই পায়রা উড়িয়ে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন শেখ হাসিনা। ওই সময়ও পাশে ছিলেন ওবায়দুল কাদের।
সম্মেলনের উদ্বোধন শেষে সভামঞ্চের দিকে এগিয়ে যান শেখ হাসিনা। পরবর্তী সময়ে চিত্রনায়ক ফেরদৌসের উপস্থাপনায় শুরু হয় আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক উপকমিটি আয়োজিত সাংস্কৃতিক পরিবেশনা।
মঞ্চে চার সারিতে রাখা হয়েছে ১২০টি চেয়ার। প্রথম সারিতে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা ও সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বসেছেন।
দ্বিতীয় সারিতে বসেছেন উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য, জ্যেষ্ঠ নেতা ও সভাপতিমণ্ডলীর সদস্যরা। বাকি দুই সারিতে বসবেন অন্য নেতারা।
সাংস্কৃতিক পরিবেশনা শেষে শোক প্রস্তাব উত্থাপন করবেন দলের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া। সাধারণ সম্পাদকের প্রতিবেদন উপস্থাপন করবেন ওবায়দুল কাদের।
সম্মেলনে স্বাগত বক্তব্য দেবেন অভ্যর্থনা কমিটির আহ্বায়ক শেখ ফজলুল করিম সেলিম। সভাপতি শেখ হাসিনার বক্তব্যের মধ্য দিয়ে সম্মেলনের প্রথম অধিবেশন শেষ হবে।
পরে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে শুরু হবে কাউন্সিল অধিবেশন। সেখানেই দলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচন হবে।
নতুন নেতৃত্ব নির্বাচনে উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ইউসুফ হোসেন হুমায়ুনের নেতৃত্বে গঠন করা হয়েছে তিন সদস্যের নির্বাচন কমিশন। এ কমিশন শীর্ষ নেতৃত্ব নির্বাচনের পর কাউন্সিলরদের মতামতের আলোকে হবে ৮১ সদস্যের কার্যনির্বাহী কমিটি।
এবারের জাতীয় সম্মেলনে সারা দেশ থেকে প্রায় ৭ হাজার কাউন্সিলর অংশ নেন। সম্মেলনকে ঘিরে প্রায় এক লাখ নেতা-কর্মী সম্মেলনস্থল ও আশপাশে সমবেত হবে বলে আশাবাদী ক্ষমতাসীন দল।