বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

রঙিন হয়ে উঠছে মেট্রোরেলের সড়কদ্বীপ

  •    
  • ২৪ ডিসেম্বর, ২০২২ ১০:৩৩

বহুল প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে ২৮ ডিসেম্বর উদ্বোধন হতে যাচ্ছে মেট্রোরেল। কাজেই শেষ মুহূর্তে চলছে সাজসজ্জার তোড়জোড়। ২৬ ডিসেম্বরের মধ্যে সব কাজ শেষ করে মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষকে বুঝিয়ে দেয়ার তাড়া রয়েছে শ্রমিক এবং কাজের দায়িত্বে থাকা প্রতিষ্ঠানের। শুক্রবার আগারগাঁও থেকে মিরপুর পর্যন্ত ঘুরে দেখা গেছে, শেষ মুহূর্তের কাজে ব্যস্ত শ্রমিকরা। কোথাও স্টেশনের পাশে টাইলস লাগানোর কাজ চলছে, কোথাও রং দিচ্ছে, সড়কদ্বীপে গাছ লাগানোর পাশাপাশি চলছে পরিষ্কার করার কাজ।

সড়কদ্বীপ রাঙানো হচ্ছে সাদা-কালো রঙে; বাগানবিলাস, গাঁদা, সিলভিয়া, চন্দ্রমল্লিকার গাছ বসানো হচ্ছে পুরো সড়কদ্বীপে। ক্রমেই মেট্রোরেলের নিচের অংশ রঙিন হয়ে উঠছে।

বহুল প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে ২৮ ডিসেম্বর উদ্বোধন হতে যাচ্ছে মেট্রোরেল। কাজেই শেষ মুহূর্তে চলছে সাজসজ্জার তোড়জোড়। ২৬ ডিসেম্বরের মধ্যে সব কাজ শেষ করে মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষকে বুঝিয়ে দেয়ার তাড়া রয়েছে শ্রমিক এবং কাজের দায়িত্বে থাকা প্রতিষ্ঠানের।

শুক্রবার আগারগাঁও থেকে মিরপুর পর্যন্ত ঘুরে দেখা গেছে, শেষ মুহূর্তের কাজে ব্যস্ত শ্রমিকরা। কোথাও স্টেশনের পাশে টাইলস লাগানোর কাজ চলছে, কোথাও রং দিচ্ছে, সড়কদ্বীপে গাছ লাগানোর পাশাপাশি চলছে পরিষ্কার করার কাজ।

রংমিস্ত্রি কামরুল হাসান জানান, দুই দিন ধরে তারা রং করার কাজ করছেন। মেট্রোরেলের নিচের অংশটুকু সাদা ও কালো রঙে রাঙানো হচ্ছে। তবে সাজসজ্জার আর কোনো পরিকল্পনার কথা জানাতে পারেননি তিনি।

কামরুল বলেন, ‘আমরা শুধু রং করার কাজে আছি। বাকি কাজ হয়তো অন্যরা করবে।’

মেট্রোরেলের সড়কদ্বীপে লাগানোর জন্য ট্রাক থেকে নামানো হচ্ছে ফুলের গাছ। ছবি: নিউজবাংলা

আগারগাঁও বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের পাশে মেট্রোরেলের সড়কদ্বীপে দেখা গেছে, সারিবদ্ধভাবে রোপণ করা হচ্ছে বাগানবিলাসের গাছ। তিনটি রঙের বাগানবিলাস থাকবে পুরো সড়কদ্বীপে। লাল, সাদা ও হলুদ রঙের কাজগুলো প্রাধান্য পাবে।

এই বাগানবিলাসগুলো রোপণ করা হচ্ছে সড়কদ্বীপের মাঝ বরাবর। আর দুই পাশে রোপণ করা হচ্ছে নানা জাতের সিজনাল ফুলের গাছ।

সড়কদ্বীপে সাজসজ্জার এক অংশের দায়িত্বে আছেন মো. সজিব। সুপারভাইজার হিসেবে থাকা ওই ব্যক্তি বলেন, ‘আজকে আইল্যান্ডের মাঝ বরাবর বাগানবিলাসের গাছ লাগাচ্ছি। এরপরই সিজন্যাল গাছগুলো রোপণ করা হবে।’

তিনি বলেন, ‘আগামী ২৮ ডিসেম্বর মেট্রোরেলের উদ্বোধন করা হবে। এর আগেই আমাদের সব কাজ শেষ করতে হবে। ২৬ ডিসেম্বরের মধ্যে কাজ শেষ করে মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হবে।’

২৮ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন এই মেট্রোরেলের, যার মাধ্যমে দেশের যোগাযোগ খাতে লাগতে যাচ্ছে নতুন প্রযুক্তির ছোঁয়া। যা দেশের জনগণকে নিয়ে যাবে প্রযুক্তির নতুন যুগে।

মেট্রোরেল উদ্বোধন ২৮ ডিসেম্বর হলেও যাত্রীরা ২৯ ডিসেম্বরে যাতায়াত করতে পারবেন। প্রথম দিকে মেট্রোরেল সীমিত আকারে চলাচল করলেও আস্তে আস্তে বাড়বে তার স্বাভাবিক গতি। ফলে দৈনন্দিন জীবনযাত্রাকে গতিশীলের পাশাপাশি অর্থনীতিতে প্রত্যক্ষ-পরোক্ষভাবে ব্যাপক ইতিবাচক প্রভাব রাখবে এই মেট্রোরেল।

পরিবহন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সড়কে বিভিন্ন পরিবহনের বিশৃঙ্খলা, সড়কের তুলনায় যানবাহন বেশি হওয়াসহ নানা কারণে প্রায় প্রতিদিন ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানজটে পড়ছেন কর্মজীবী মানুষ। এই যানজট থেকে রেহাই দিতে যাতায়াতের একটি আধুনিক মাধ্যম হবে মেট্রোরেল।

তাদের মতে, বর্ষাকালে জলজট, সাধারণ দিনে সময়মতো বাস না পাওয়া, অতিরিক্ত ভিড়, বাস কর্মচারীদের দুর্ব্যবহারে ঢাকার মানুষের কাছে নিত্যদিনের ভোগান্তি হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই ভোগান্তি থেকে মানুষকে রক্ষা করে যাত্রীবান্ধব হবে মেট্রোরেল। তবে আপাতত উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত মেট্রোরেলে পুরোপুরি সুফল ভোগ করতে পারবে না সাধারণ মানুষ। এই সুফল পেতে পুরো মেট্রোরেল চালুর জন্য অপেক্ষা করতে হবে।

ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) তথ্য মতে, মেট্রোরেল ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১০০ কিলোমিটার গতিতে চলতে পারবে। শুরুর দিকে রাজধানীর দিয়াবাড়ী স্টেশন থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত প্রায় ২০ মিনিট লাগবে। ধাপে ধাপে যাত্রার সময় ১৬ থেকে ১৭ মিনিটে নেমে আসবে।

ডিএমটিসিএল সূত্র বলছে, উদ্বোধনী অনুষ্ঠানটি হবে শেরেবাংলানগরে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে। এই অনুষ্ঠানে মন্ত্রিসভার সদস্য, রাজনীতিবিদ, কূটনীতিক, সরকারি কর্মকর্তাসহ প্রায় দুই হাজার অতিথি থাকবেন।

মেট্রোরেলের পরীক্ষামূলক চলাচল। ফাইল ছবি/নিউজবাংলা

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের বিষয়ে ডিএমটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এমএনএ সিদ্দিক বলেন, ‘আগামী ২৮ ডিসেম্বর মেট্রোরেলের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের জন্য সব প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে। বাড়তি চাকচিক্য না থাকলেও উদ্বোধনী অনুষ্ঠান খুব ভালোভাবে করার জন্য চেষ্টা থাকবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘নিরাপত্তা ও নানা আনুষ্ঠানিকতার কারণে উদ্বোধনের দিন জনসাধারণের মেট্রোরেলে চড়ার সুযোগ থাকছে না। যাত্রীরা ২৯ ডিসেম্বর থেকে মেট্রোরেলে উঠতে পারবেন।’

এ বিভাগের আরো খবর