বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মরণোত্তর হলেও নোবেল পাবেন খালেদা জিয়া: গয়েশ্বর

  •    
  • ২৩ ডিসেম্বর, ২০২২ ২০:৫৯

‘আমি বিশ্বাস করি, গণতান্ত্রিক আন্দোলনের রাজনীতিতে হয়তো কোনো না কোনো দিন তার ভাগ্যে নোবেল পুরষ্কার জুটতে পারে। এটি তার জীবদ্দশায় হতে পারে অথবা মরণোত্তরও তিনি এটি পেতে পারেন। কারণ গণতন্ত্রের প্রতি এমন শ্রদ্ধাবোধ এবং গণতন্ত্রের জন্য জীবন উৎসর্গ করা- এটি সারাবিশ্বের মানুষ দেখছে।’

গণতান্ত্রিক আন্দোলনের রাজনীতির জন্য বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে একদিন নোবেল পুরস্কার দেয়া হবে বলে মনে করছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। তার ধারণা, জীবিত থাকতে না পেলেও তাকে মরণোত্তর এই পুরস্কার দেয়া হবে।

জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে শুক্রবার বিকেলে এক আলোচনা সভায় গয়েশ্বর চন্দ্র রায় এ প্রত্যাশার কথা জানান।

খালেদা জিয়ার জন্য নোবেলপ্রত্যাশী বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করে বেগম খালেদা জিয়া আজ শুধু এদে শের নেত্রীই নন, তিনি এখন সারাবিশ্বের নেত্রী হয়েছেন। তিনি আপসহীন নেত্রী এবং গণতন্ত্রের মা হিসেবে বিশ্বে প্রশংসিত হয়েছেন।

‘আমি বিশ্বাস করি, গণতান্ত্রিক আন্দোলনের রাজনীতিতে হয়তো কোনো না কোনো দিন তার ভাগ্যে নোবেল পুরষ্কার জুটতে পারে। এটি তার জীবদ্দশায় হতে পারে অথবা মরণোত্তরও তিনি এটি পেতে পারেন। কারণ গণতন্ত্রের প্রতি এমন শ্রদ্ধাবোধ এবং গণতন্ত্রের জন্য জীবন উৎসর্গ করা- এটি সারাবিশ্বের মানুষ দেখছে।’

শুধু জীবিতদেরই নোবেল পুরস্কারের জন্য মনোনীত করা হয়ে থাকে। তবে ১৯৭৪ সালের আগে পর্যন্ত তিনজনকে মরণোত্তর এই পুরস্কার দেয়া হয়েছে। কমিটির নিয়ম অনুযায়ী, পুরষ্কারের কথা ঘোষণা করার পর কারও মৃত্যু হলে শুধু তাকেই নোবেল পুরস্কার দেয়া হয়ে থাকে।

আলোচনা সভায় ক্ষমতাসীন সরকারের সমালোচনা করে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘সরকার টিকে থাকার জন্য সবসময়ই পুলিশ প্রশাসনকে ব্যবহার করে, আন্দোলনে নামলেই টিয়ারশেল ছোড়ে। বর্তমানে এই সরকারের আমলে নতুন একটা বিষয় যুক্ত হয়েছে, তা হলো কথা বললেই গুম করে ফেলে। এই গুমের রাজনীতিও আগে ছিল না। গত ১৪ বছর ধরে এই রাজনীতি চলছে।’

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের (রাকসু) সাবেক নেতা ও বর্তমান বিএনপি নেতা রুহুল কবির রিজভী আহমেদের অবদান স্মরণে ‘রিজভী আহমেদ ও বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট’ শীর্ষক এ সভার আয়োজন করে ‘রাজশাহী ইউনিভার্সিটি ন্যাশনালিস্ট এক্স স্টুডেন্ট’স অ্যাসোসিয়েশন (রুনেসা)।’

গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘রিজভী আহমেদ তো তার দীর্ঘজীবন এই রাজনীতিতে ব্যয় করেছেন। হয়তো বাকি জীবনটাও তার রাজনীতিতেই ব্যয় করতে হবে। তিনি শুধু স্বৈরাচার এরশাদ বিরোধী আন্দোলনেই নয়, আরো অনেক আন্দোলনেই তিনি আহত হয়েছিলেন।

‘তিনি এখনো সুস্থ নন। বাকি জীবনেও তার পরিপূর্ণ সুস্থতা লাভ সুযোগ অবশিষ্ট নেই। তিনি এখনো বেঁচে আছেন, কিন্তু শঙ্কামুক্ত নন। এই অবস্থার মধ্যেই এই নিষ্ঠুর সরকার তাকে গ্রেপ্তার করেছে। শুধু তাকেই নয়, আরো অনেককে গ্রেপ্তার করেছে।’

রুনেসার সভাপতি অধ্যক্ষ বাহাউদ্দিন বাহারের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক মল্লিক মো. মোকাম্মেল কবীরের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের সিনিয়র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুল করিম মজুমদার।

এ বিভাগের আরো খবর