ঢাকার ধামরাইয়ে খাদে পড়ে যাওয়া বাসের নিচ থেকে ২৪ ঘণ্টা পর দুই যাত্রীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
ধামরাই ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার সোহেল রানা শুক্রবার সন্ধ্যায় নিউজবাংলাকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
নিহতরা হলেন, মানিকগঞ্জ জেলার দৌলতপুর থানার আব্দুল বাতেন ও ধামরাইয়ের শ্রীরামপুর এলাকার মুক্তা আক্তার।
ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের বালিথায় একেএইচ গার্মেন্টস এলাকায় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে এই দুর্ঘটনা ঘটে। সে সময় র্যাকারের মাধ্যমে বাসটি উদ্ধারের চেষ্টা করা হয়। তবে তা সম্ভব না হওয়ায় শুক্রবার ক্রেনের মাধ্যমে উদ্ধারকাজ চালানো হয়। সন্ধ্যার দিকে বাস সরিয়ে মরদেহ বের করে মানিকগঞ্জ থেকে যাওয়া গোলড়া হাইওয়ে থানা পুলিশ।
ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা সোহেল রানা নিউজবাংলাকে বলেন, ‘গতকাল একেএইচ গার্মেন্টেসের সামনে সড়কের পাশে ২০ ফুট গভীর ডোবায় বাসটি পড়ে যায়। বাসটি মানিকগঞ্জ থেকে ঢাকায় যাচ্ছিল।
‘আমরা বাসের ভিতরে সার্চ করে কাউকে তখন আটকা অবস্থায় পাইনি। তবে বাসের নিচে মানুষ আটকে থাকার আশঙ্কার কথা জানিয়েছিলাম... প্রায় ২৪ ঘণ্টা পর ক্রেনের মাধ্যমে বাসটি উঠালে এর নিচে ভাসমান অবস্থায় মুক্তা আক্তার নামে এক নারী যাত্রীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এরপর পানির নিচে তল্লাশি চালিয়ে আব্দুল বাতেন নামে আরেকজনের মরদেহ উদ্ধার করি।’
তিনি জানান, মরদেহদুটি হাইওয়ে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
মানিকগঞ্জের গোলড়া হাইওয়ে থানার ওসি মাসুদ খান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘মরদেহ দুটি থানায় রাখা হয়েছে। নিহতের পরিবারের সঙ্গে কথা বলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।’