বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

জব্দ হওয়া ১১৩০ বস্তা চাল উধাওয়ের ঘটনায় মামলা

  •    
  • ২৩ ডিসেম্বর, ২০২২ ১৮:৪১

বৃহস্পতিবার রাতে সারিয়াকান্দি থানায় এ মামলা করেন উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা আতিকুর রহমান। অবশ্য প্রাথমিকভাবে এই চাল উধাও হওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেছিলেন তিনি।

বগুরায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে সিলগালা করা গুদাম থেকে ১১৩০ বস্তা সরকারি চাল উধাওয়ের ঘটনায় অবশেষে মামলা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার রাতে সারিয়াকান্দি থানায় এ মামলা করেন উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা আতিকুর রহমান। অবশ্য প্রাথমিকভাবে এই চাল উধাও হওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেছিলেন তিনি।

মামলায় কারও নাম বা আসামির সংখ্যা উল্লেখ করা হয়নি। শুক্রবার দুপুরে এ তথ্য নিশ্চিত করেন সারিয়াকান্দি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আশরাফুল আলম।

তিনি জানান, ভ্রাম্যমাণ আদালতে জব্দ ১ হাজার ১৩০ বস্তা চাল চুরি হওয়ার অভিযোগে বৃহস্পতিবার রাতে অজ্ঞাত আসামি করে একটি মামলা হয়। মামলার বাদী উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা আতিকুর রহমান এবং তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে এসআই নজরুল ইসলামকে।

৩০ নভেম্বর বিকেলে উপজেলার কালিতলা বাগবেড় এলাকায় এনএসআইয়ের তথ্যের ভিত্তিতে বগুড়া জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত শাহাদত হোসেন নামে স্থানীয় যুবলীগ নেতার গুদাম থেকে অবৈধভাবে মজুদ ১ হাজার ১৩০ বস্তা চাল উদ্ধার করে। পরে সেখানে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ও গুদাম সিলগালা করে রাখে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

সিলগালা থাকা অবস্থায় গুদামের চালগুলো চুরি হওয়ার কথা ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। এ বিষয়ে ১২ ডিসেম্বর গণমাধ্যমে সংবাদও প্রকাশ হয়। কিন্তু সেই সময় চাল উধাওয়ের বিষয়টি স্বীকার করেননি গুদামের দায়িত্বে থাকা সারিয়াকান্দি উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা আতিকুর রহমান। ওই সময় তিনি বলেছিলেন, সিলগালা থাকায় গুদামের ভিতরে চালের খোঁজ নেয়া সম্ভব নয়।

পরে এ ঘটনায় বগুড়া খাদ্য নিয়ন্ত্রক কার্যালয় থেকে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। সেই কমিটির আহ্বায়ক সদর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা মো. মনিরুল ইসলাম বৃহস্পতিবার বিকেলে দুই সদস্যকে নিয়ে গুদামটি পরিদর্শনে যান। এই পরিদর্শন দলের সঙ্গে আরও ছিলেন গুদামের দায়িত্বে থাকা আতিকুর রহমান।

এ সময় জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে সারিয়াকান্দি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রেজাউল করিম উপস্থিত ছিলেন।

তারা গুদামের সিলগালা খুলে ভিতরে পরিদর্শন করেন। সেখানে চাল উধাওয়ের সত্যতা পাওয়ার পর মামলার সিদ্ধান্ত নেন তারা।

মামলার বিষয়ে জানতে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা আতিকুর রহমানের সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।

তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক সদর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘চাল উধাওয়ের খবরে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। আগামী সোমবার এই তদন্তের প্রতিবেদন জমা দেব। তদন্তে আমাদের বিভাগীয় নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে। ’

৩০ নভেম্বরে উপজেলার কালিতলা বাগবেড় এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে ওই গুদামে সাশ্রয়ী মূল্যে বিক্রয় ও বিতরণযোগ্য সরকারি খাদ্যবান্ধব কর্মসূচীর (ভিডব্লিওবি এবং পুষ্টি চাল) জন্য বরাদ্দ ১ হাজার ১৩০ বস্তা পাওয়া যায়।

আদালতের অভিযানের খবর পেয়ে গুদামের মালিক শাহাদাত হোসেন গা ঢাকা দেন। এ সময় তার ভাই শাহিন আলম সংরক্ষিত চালের বস্তার কোনো কেনা বা বিক্রয় রশিদও দেখাতে পারেননি। এমনকি চালের বস্তার উৎস সম্পর্কে গ্রহণযোগ্য জবাব দিতে পারেননি।

এ বিভাগের আরো খবর