বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সবচেয়ে বেশি ঝুঁকি শেখ হাসিনার, সেই বিবেচনাতেই নিরাপত্তা: ডিএমপি

  •    
  • ২৩ ডিসেম্বর, ২০২২ ১৫:৩৯

‘বিশ্বে যত বড় রাজনৈতিক নেতারা আছেন, তার মধ্যে আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জীবন সবচেয়ে বেশি রিস্কে। ১৯৭১-এর পরাজিত শক্তিরা বারবার তার জীবন নাশের চেষ্টা করেছে। অনেক প্রমাণ আপনাদের কাছে আছে, ২১ আগস্ট, টুঙ্গিপাড়া। সেগুলোকে সামনে রেখে আমরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী বৃদ্ধি করাসহ সব খুঁটিনাটি বিষয় মাথায় রেখে নিরাপত্তা ব্যবস্থা সাজিয়েছি, যাতে ওনার নিরাপত্তার কোনো অসুবিধা না হয়।’

বিশ্বের নেতাদের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি বলে মনে করেন ঢাকা মহানগর পুলিশের কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক। এই বিবেচনাতেই তার নিরাপত্তা সাজানো হয় বলে জানিয়েছেন তিনি। বলেছেন, আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলনকে কেন্দ্র করেও তাকে কড়া নিরাপত্তা দেয়া হবে।

রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে শুক্রবার দুপুরে ক্ষমতাসীন দলের সম্মেলনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণ করে তিনি এ কথা বলেন।

শনিবার আওয়ামী লীগের ২২তম সম্মেলন হতে যাচ্ছে। সারা দেশ থেকে কাউন্সিলররা এসে দলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচন করবেন। সারা দেশ থেকে এক লাখ নেতা-কর্মীকে আনার কথা জানিয়েছে ক্ষমতাসীন দল।

এতে যোগ দেবেন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে, কোনো ত্রুটিবিচ্যুতি আছে কি না, তা দেখতে সম্মেলনস্থলে যান ঢাকার পুলিশ কমিশনার।

ডিএমপিপ্রধান বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী সব সময়ই ঝুঁকির মধ্যে থাকেন, ইতোপূর্বে অনেকবার জীবননাশের চেষ্টা, আল্লাহর অশেষ রহমতে তিনি বেঁচে গেছেন। এ জন্য আমরা তার নিরাপত্তাটাকে সব সময়ই সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করে থাকি।’

তিনি বলেন, ‘আগামীকালের নিরাপত্তার জন্য যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে আমাদের ফোর্স ডিপ্লয়মেন্ট করেছি। আমাদের এসবি-র‌্যাবসহ সবাই মিলে এই ভেন্যুতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা রেখেছি।

‘প্রতিটি গেটে আর্চওয়ে ও সিসি ক্যামেরা স্থাপন করেছি। এ ছাড়া আমাদের ডগ স্কোয়াডের মাধ্যমে চারদিকে সুইপিং, ম্যানুয়াল সুইপিং। সাদা পোশাকে নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। এক কথায় আমরা নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা রেখেছি, যাতে আওয়ামী লীগ উৎসবমুখর পরিবেশে কাউন্সিল সম্পন্ন করতে পারে।

‘আওয়ামী লীগের ঊর্ধ্বতন নেতারাসহ প্রধানমন্ত্রীর যাতে কোনো ধরনের নিরাপত্তার ত্রুটি না থাকে, বিষয়টাই আজকে তদারকি করতে এসেছি।’

কোনো হুমকির বিবেচনায় নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে কি না- এমন প্রশ্নে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘বিশ্বে যত বড় রাজনৈতিক নেতা আছেন, তার মধ্যে আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জীবন সবচেয়ে বেশি রিস্কে। ১৯৭১-এর পরাজিত শক্তিরা বারবার তার জীবন নাশের চেষ্টা করেছে।

‘অনেক প্রমাণ আপনাদের কাছে আছে, ২১ আগস্ট, টুঙ্গিপাড়া। সেগুলোকে সামনে রেখে আমরা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী বৃদ্ধি করাসহ সব খুঁটিনাটি বিষয় মাথায় রেখে নিরাপত্তা ব্যবস্থা সাজিয়েছি, যাতে ওনার নিরাপত্তার কোনো অসুবিধা না হয়।’

আদালত থেকে দুই জঙ্গি ছিনতাইয়ের ঘটনা ও রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট নিয়ে এক প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘২ জঙ্গি ছিনতাই, নতুন জঙ্গি সংগঠনের উত্থান, সুনির্দিষ্ট কোনো থ্রেট আছে বলে মনে করি না।

‘জঙ্গি ২ জন ছিনতাই হয়েছে। এ ব্যাপারে জঙ্গিদের বিরুদ্ধে বিশেষ অভিযান শুরু করেছি। ইতোমধ্যে ওই জঙ্গিদের বেশ কয়েকজন সহযোগী এবং অন্য গ্রুপের বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছি। বাকি জঙ্গিদেরও আমরা নাম-ঠিকানা সংগ্রহ করতে পেরেছি। আমরা আশা করি, তাদেরও গ্রেপ্তার করতে পারব।

‘আশা করি, জঙ্গিদের তরফ থেকে কোনো থ্রেট থাকবে না। যতবারই মাথাচাড়া দেয়ার চেষ্টা করেছে, আমরা ততবারই জঙ্গিদের নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হয়েছি। ভবিষ্যতেও সক্ষম হব।’

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের গুজব নিয়ে এক প্রশ্নে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘গুজব সামাজিক, সামাজিক মাধ্যম মনিটর করার সিস্টেম আছে। আমাদের ডিবিতে সাইবার ক্রাইম ইউনিট, সিটিটিসিতে সাইবার ইউনিট আছে। অন্যান্য সংস্থারও সামাজিক মাধ্যম মনিটর করার সিস্টেম আছে। মনিটর করে যাচ্ছি। আশা করব, সামাজিক মাধ্যমে গুজব ছড়িয়েও সমাজে কোনো অস্থিরতা তৈরি করতে পারবে না।’

এ বিভাগের আরো খবর