নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, আমাদের পতাকাবাহী জাহাজ ছিল ৬১টি। সেখান থেকে ৯২টিতে উন্নীত হয়েছে। এক বছরের মধ্যে ২০০ থেকে ৩০০ এর মধ্যে চলে যাবে। আমাদের রিজার্ভের সিংহভাগ আসবে মেরিটাইম সেক্টর থেকে।
বৃহস্পতিবার ঢাকায় বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) কাউন্সিল ভবনে নৌ-স্থাপত্য এবং মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ আয়োজিত মেরিন টেকনোলজি বিষয়ক ১৩তম আন্তর্জাতিক সম্মেলনের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত বাংলাদেশ গড়তে নৌ-স্থাপত্য ও মেরিন ইঞ্জিনিয়ার বিভাগ বিরাট ভূমিকা রাখবে এবং সুনীল অর্থনীতির পথ দেখাবে। বাংলাদেশে মানসম্পন্ন অনেক শিপইয়ার্ড আছে। সেখানে উন্নতমানের জাহাজ তৈরি হয়। জাহাজ নির্মাণের জন্য ব্রিটিশ সরকার বাংলাদেশের প্রশংসা করেছে। তারা আমাদের দেশের সঙ্গে মেরিটাইম সেক্টরে কাজ করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
‘শিমুলিয়াতে ল্যান্ডিং স্টেশন নির্মাণ করা হবে। নগরবাড়ী, বাঘাবাড়ী ও নোয়াপাড়া নৌবন্দরের উন্নয়ন করা হচ্ছে। এর ফলে নৌপথে পণ্য পরিবহন সহজ ও সাশ্রয়ী হবে। চট্টগাম ও মোংলা বন্দরের আপগ্রেডেশন হচ্ছে। পায়রা বন্দরের উন্নয়ন হচ্ছে। মাতারবাড়ীতে গভীর সমুদ্র বন্দরের নির্মাণ কাজ চলছে। সেটি আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের হাব হবে। ৩৭টি অভ্যন্তরীণ নদীবন্দর নিয়ে কাজ চলছে। এতে দেশের সড়কে চাপ কমবে।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘জাতির পিতাকে হারানোর পর আমরা অল্প সময়ের মধ্যে ভালো নেতৃত্ব পেয়েছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ দাঁড়িয়ে গেছে। যে জায়গায় গেছে সেখানে থেকে নামানো যাবে না। আরও এগিয়ে যাবো। যারা বাঙালি জাতিকে নিয়ে কটাক্ষ করেছিল, তাচ্ছিল্য করেছিল, তাদের দেখিয়ে দিতে চাই, আমরা পারি।’
অনুষ্ঠানে বুয়েটের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. আব্দুল জব্বার খান, সাংগঠনিক কমিটির চেয়ারম্যান প্রফেসর সাজিদুল বারী, টেকনিক্যাল কমিটির চেয়ারম্যান ড.মাসুদ করিম, ড.শহীদুল ইসলাম সহ প্রকৌশলীরা উপস্থিত ছিলেন।