তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র নারায়ণগঞ্জ সদর থানার গোগনগর এলাকায় জাহেদা খাতুন নামের এক নারীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে প্রতিবেশীদের বিরুদ্ধে। এ সময় নিহতের স্বামীকেও মারধর করা হয়।
বৃহস্পতিবার বিকেলে এ ঘটনার পর পুলিশ গিয়ে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে।
নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক মোহাম্মদ সাইদুজ্জামান এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে তিনি জানান, দুই দিন আগে প্রতিবেশী সেকুল মিয়া আমগাছের ডাল কাটার সময় জাহেদার বাড়ির টয়লেটের পাইপ ভেঙে ফেলেন। পরে পাইপটি মেরামত করে দেয়ার কথা থাকলেও তা তিনি মেরামত করে দেননি।
বৃহস্পতিবার বিকেলে পাইপ মেরামতের বিষয়টি নিয়ে তাদের মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে জাহেদাকে পিটিয়ে হত্যা করেন সেকুল মিয়া ও তার লোকজন। স্ত্রীকে বাঁচাতে গিয়ে এ সময় গুরুতর আহত হন জাহেদার স্বামী কাইয়ুম মণ্ডল।
ঘটনাস্থলে যাওয়া সদর মডেল থানার এসআই হাফিজুর রহমান জানান, নিহতের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে।’
জাহেদার হত্যার বিচার চেয়ে তার ছেলে রাসেল মিয়া বলেন, ‘আমি শ্বশুরবাড়িতে ছিলাম। গতকাল মা ফোনে জানিয়েছিলেন টয়লেটের পাইপ ভেঙে গেছে। বিকালে খরব পাই পাইপ ভাঙা নিয়ে মার সঙ্গে ওরা ঝগড়া করেছে। আমার মাকে পিটিয়ে হত্যা করছে।’