রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে নির্ভয়ে ভোটকেন্দ্রে এসে পছন্দের প্রার্থীদের ভোট দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার রাশিদা সুলতানা। বলেছেন, এই ভোট অবাধ ও সুষ্ঠু করতে যা যা করার দরকার, তার সবই করবে নির্বাচন কমিশন।
বৃহস্পতিবার দুপুরে রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন উপলক্ষে রংপুর সরকারি কলেজ অডিটরিয়ামে প্রিসাইডিং কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে এসব কথা বলেন এই নির্বাচন কমিশনার।
২৭ ডিসেম্বর উত্তরের এই সিটি করপোরেশনে হতে যাচ্ছে ভোটের লড়াই। গতবারের বিজয়ী জাতীয় পার্টিকে চ্যালেঞ্জ করছে প্রথম নির্বাচনে জয় পাওয়া আওয়ামী লীগ। আরও সাত প্রার্থীও ভোটের মাঠে চালাচ্ছেন প্রচার।
জাতীয় পার্টির প্রার্থী মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা বলেছেন, ভোটে কোনো অনিয়ম হলে তারা তাৎক্ষণিক অ্যাকশন নেবেন।
গত ফেব্রুয়ারিতে দায়িত্ব নেয়া নির্বাচন কমিশনের অধীনে এখন পর্যন্ত যেসব ভোট হয়েছে, তার মধ্যে প্রায় সবগুলোই হয়েছে শান্তিপূর্ণ। গাইবান্ধার একটি আসনে উপনির্বাচনে কারচুপির প্রমাণ পেয়ে ভোট চলার সময় তাৎক্ষণিক নির্দেশে নির্বাচন স্থগিতের ঘোষণাও এসেছে। বাংলাদেশে কোনো নির্বাচন কমিশন প্রথমবারের মতো এই ক্ষমতার প্রয়োগ করল।
নির্বাচন কমিশনার রাশিদা বলেন, ‘নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে আইনের কাঠামোয় যা যা দরকার তার সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হবে। প্রয়োজনমতো আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দায়িত্বে নিয়োজিত থাকবে।’
তিনি বলেন, ‘নির্বাচন চলাকালীন সময়ে প্রিসাইডিং কর্মকর্তা তার ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করবেন। এ সময় প্রশাসনের কেউ হস্তক্ষেপ কিংবা প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করলে আমরা নির্বাচন কমিশনকে জানাতে বলেছি। এ রকম কিছু ঘটলে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
রংপুরে ভোট হতে যাচ্ছে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন বা ইভিএমে। এই বিষয়টি নিয়েও কথা বলেন নির্বাচন কমিশনার রাশেদা। বলেন, ‘ইভিএমের মাধ্যমে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব।’
রিটার্নিং কর্মকর্তা আবদুল বাতেন, রংপুর বিভাগীয় কমিশনার সাবিরুল ইসলাম, রংপুর মহানগর পুলিশের কমিশনার নুরে আলম মিনা, জেলা প্রশাসক চিত্রলেখা নাজনীনসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।