ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের হাত ধরেই বাংলাদেশ ডিজিটাল হয়েছে এবং এখন দেশ এ দলের হাত ধরে স্মার্টও হবে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।
বুধবার আওয়ামী লীগের ২২তম কাউন্সিলের অনুষ্ঠানস্থল সোহরাওয়ার্দী উদ্যান পরিদর্শনে গিয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আওয়ামী লীগে সবসময় সবার আগে ভাবে, জাতিকে এগিয়ে নিতে হলে কি করতে হবে। আওয়ামী লীগের হাত ধরে ডিজিটাল বাংলাদেশ হয়েছে, স্মার্ট বাংলাদেশও আওয়ামী লীগের হাত ধরেই হবে। আওয়ামী লীগ সবসময়ই একটি স্মার্ট দল।’
তিনি বলেন, ‘পাকিস্তান আমলে বাঙালির স্বাধিকার থেকে স্বাধীনতার আন্দোলন আওয়ামী লীগের ঘর থেকেই শুরু হয়েছে এবং আওয়ামী লীগ থেকেই জাতিকে অবহিত করা হয়েছে। জাতিকে প্রস্তুত করা হয়েছে স্বাধীনতা সংগ্রামের জন্য। ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার কথা ভেবেছে, যেটি ভারত ২০১৫ সালে, যুক্তরাজ্য ২০০৯ সালে ভেবেছে।’
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আমাদের দেশ প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় শিল্প বিপ্লবে কয়েক দশক করে পিছিয়ে পড়লেও এখন চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা পিছিয়ে নেই।’
মন্ত্রী বলেন, ‘আর দুই দিন পরই আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলনটি শুধু দলেরই নয়, জাতীয় জীবনেও একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। ১৯৬৬ সালে আওয়ামী লীগের যে সম্মেলন হয়েছিল, সেটির সম্মেলন সংগীত ছিল আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি এবং সেই সংগীতই পরে আমাদের জাতীয় সংগীত হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘প্রতিবার সম্মেলন থেকে দেশ গঠনে, দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া, জাতির পিতার স্বপ্নের ঠিকানায়, মুক্তিযোদ্ধাদের স্বপ্নের ঠিকানায় দেশকে পৌঁছাবার লক্ষ্যে বার্তা থাকে। এবারের সম্মেলনেও দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া, দেশের রাজনীতিকে কলুষমুক্ত করা ও রাজনীতিতে যে অপশক্তির অনুপ্রবেশ ঘটেছে এবং বিএনপির নেতৃত্বে স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তিকে যে লালন-পালন করা হচ্ছে, সেই সব বিষয়েও সুনির্দিষ্ট দিকনির্দেশনা থাকবে। এভাবেই আওয়ামী লীগের সম্মেলন জাতীয় জীবনের মাইলফলক হয়ে ওঠে।’
এবারের সম্মেলন একদিনে হবে উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘প্রথম অধিবেশন সকালে ও বিকেলে কাউন্সিল অধিবেশন। এরপরও আমাদের কৃষ্টি, সংস্কৃতি, ঐতিহ্যের সাথে মিল রেখে এবারের সম্মেলনে অনেক কিছু থাকবে।’
নির্মীয়মাণ মঞ্চ ও আসনস্থল পরিদর্শনকালে আওয়ামী লীগের উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, সাবেক এমপি মো. নবী নেওয়াজ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আক্তার হোসেন, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য আ হ ম তারেক উদ্দীন, প্রচার ও প্রকাশনা উপ-কমিটির সদস্য মোহাম্মদ রাশেদুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।