রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) ৯ শিক্ষক ও কর্মকর্তার কাছে ডাকযোগে খাম এসেছে। এসব খামের ভেতরে কোনো চিঠি নেই। তবে ৯টি খামের দুটিতে সাদা কাপড়ের টুকরা রয়েছে।
বুধবার বিকালে ডাক-পিয়নের মাধ্যমে খামগুলো হাতে পান ওই শিক্ষক ও কর্মকর্তারা। প্রেরকের ঠিকানায় উল্লেখ আছে- ‘সচেতন নাগরিক সমাজ রাজশাহী’।
খামগুলো যাদের কাছে পাঠানো হয়েছে তারা হলেন- রেজিস্ট্রার ড. মো. সেলিম হোসেন, রুয়েট শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. মো. ফারুক হোসেন, সাধারণ সম্পাদক ড. রবিউল আওয়াল, সহ-সভাপতি ড. জগলুল শাহাদাত, ছাত্রকল্যাণ দপ্তরের উপ-পরিচালক মো. মামুনুর রশীদ, কম্পট্রোলার নাজিম উদ্দীন আহমেদ, সহকারী প্রকৌশলী হারুন অর রশিদ, সেকশন অফিসার রাইসুল ইসলাম রোজ ও সাবেক ভিসি প্রফেসার ড. মো. রফিকুল ইসলাস শেখ।
প্রাপকদের সবাই মনে করছেন, তাদের হুমকি দিতেই এই চিঠি পাঠানো হয়েছে। কারা এই চিঠি পাঠিয়েছেন তা নিশ্চিতভাবে জানাতে না পারলেও তাদের কেউ কেউ ধারণা করছেন, রুয়েটের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের জেরেই এমন চিঠি এসেছে।
রুয়েটের মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সভাপতি ও শিক্ষক সমিতির সহ-সভাপতি অধ্যাপক ড. মিয়া মো. জগলুল শাহাদাত বলেন, ‘আজ (বুধবার) সাড়ে ৩টার দিকে ডাকপিয়ন এসে আমাকে খামসহ কাফনের কাপড় দেয়। পরে জানতে পারি, আমি ছাড়াও রুয়েটের আওয়ামীমনা আরও কয়েক শিক্ষক এ ধরনের খাম এবং সাদা কাপড় পেয়েছেন। আমরা বিষয়টি রেজিস্ট্রার দপ্তরে জানিয়েছি।’
রুয়েট শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. মো. ফারুক হোসেন বলেন, ‘আমরা ৯ জন চিঠি পেয়েছি। আরও চিঠি থাকতে পারে। অনেকেই আজ ডাক চেক করেননি। চেক করার পর বুঝা যাবে। আমরা নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে আছি। এভাবে আমাদের কাছে মৃত্যুর বার্তা পাঠানো হয়েছে।’
এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ড. মো. সেলিম হোসেন মতিহার থানায় একটি জিডি করেছেন।
মতিহার থানার ওসি হাফিজুর রহমান বলেন, ‘অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।’