একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগের রাতে ভোট হয়ে যাওয়ার বিষয়ে বিরোধী দল যে অভিযোগ করে, তা সত্য বলে মনে করেন সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে নিয়োগ পাওয়া নির্বাচন কমিশনার সাখাওয়াত হোসেন।
তিনি বলেন, ‘রাতে যে ভোট হয়েছে, তৎকালীন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা চাইলে সেসব ভোট বন্ধ করতে পারতেন। কিন্তু তিনি সেটা করেন নাই।’
বুধবার রাজধানীর কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউয়ে ডেইলি স্টার ভবনে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে দশম ও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী প্রার্থীদের তথ্যাবলি শীর্ষক বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয়। সুজনের পাশাপাশি আগামী প্রকাশনী যৌথভাবে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন।
২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর একাদশ ভোটের আয়োজন করে কে এম নুরুল হুদা কমিশন। সে সময়ে দিনের ভোট রাতে হওয়ার ব্যাপক অভিযোগ উঠেছিল।
প্রায় চার বছর পর বিদায়বেলায় নুরুল হুদা বলেন, ‘দিনের ভোট রাতে হয়েছে বলে যে অভিযোগ, তা অভিযোগ আকারেই থেকে গেছে। অভিযোগের তদন্ত আদালতের নির্দেশনা ছাড়া হয় না।’
সাখওয়াত হোসেন বলেন, ‘পরের দিন সকালে বিবিসি দেখিয়েছে রাতে ভোট হয়েছে। সে সময়ে তিনি বন্ধ করতে পারতেন যে রাতে ভোট হয়েছে। সেটা তো উনি করেন নাই।’
নুরুল হুদা আদালতের বিষয় বলে দাবি করেছেন। তার দিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে বলেন, ওনার উত্তর যদি তা-ই হয়ে থাকে, তাহলে আমি বলব, ওনার উত্তরটা সঠিক হয় নাই। গেজেট নোটিফিকেশনের আগে ইলেকশন কমিশন ইনকোয়ারি করতে পারে।
টাঙ্গাইলে একটি উপনির্বাচনে সাবেক সিইসি আবু হেনা এমন কী করেছেন জানিয়ে তিনি বলেন, ‘তিনি যতদিন ছিলেন গেজেট করেন নাই।’
গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশ আরপিও সংস্কার করা প্রয়োজন মনে করে সাবেক এই কমিশনার বলেন, ‘আরপিওতে কোথাও এটা লেখা নাই যে, একবার যদি কোনো রিটার্নিং কর্মকর্তা আনুষ্ঠানিকভাবে ফলাফল ঘোষণা করে দেয়, তারপর ইলেকশন কমিশন সেটাকে বাতিল করতে পারে।’