গত ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশের আগে সহিংসতার ঘটনায় করা মামলায় ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতের মতো মহানগর দায়রা জজ আদালতেও নাকচ হলো বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের জামিনের আবেদন। সব মিলিয়ে আদালত এই আবেদন ফিরিয়ে দিল চারবার।
ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আছাদুজ্জামানের আদালত বুধবার এই আবেদনটি ফিরিয়ে দেয়।
বিএনপি নেতাদের পক্ষে জামিনের আবেদন করেন তাদের আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেসবাহ। তাকে সহযোগিতা করেন আইনজীবী শেখ শাকিল আহম্মেদ রিপন ও জাকির হোসেন জুয়েল।
এর আগে গত ১৫ ডিসম্বের মুখ্য মহানগর হাকিম তোফাজ্জল হোসেন, ১২ ডিসেম্বর ঢাকা মহানগর হাকিম শফিউদ্দিন এবং ৯ ডিসেম্বর জামিন আবেদন নাকচ করেন ঢাকা মহানগর হাকিম মোহাম্মদ জসিম।
বিএনপির সমাবেশ অনুমতি ছাড়াই নয়াপল্টনে করার ঘোষণা দেয়ার পর পর গত ৭ ডিসেম্বর দলীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশের সঙ্গে নেতা-কর্মীদের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। এতে মকবুল হোসেন নামে একজন নিহত এবং আহত হন অনেকে।
সংঘর্ষের পর বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে তল্লাশি চালিয়ে দলটির অনেক নেতা-কর্মীকে আটক করে পুলিশ। সেখান থেকে চাল, খিচুড়ি ও ১৫টি ককটেলের পাশাপাশি বোতলজাত পানি ও টাকা উদ্ধারের কথা জানায় পুলিশ।
সংঘর্ষের ঘটনায় ৪৭৩ জনের নাম উল্লেখসহ বিএনপির অজ্ঞাত দেড় থেকে দুই হাজার নেতা-কর্মীকে আসামি করে পল্টন মডেল থানায় মামলা করে পুলিশ। আরও দুটি মামলা হয় মতিঝিল ও শাহজাহানপুর থানায়।
৮ ডিসেম্বর ফখরুল বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে উত্তরার বাসায় ফিরলে গভীর রাতে তাকে আটক করে পুলিশ। কাছাকাছি সময়ে শাহজাহানপুরের বাসা থেকে আটক করা হয় মির্জা আব্বাসকে।
তবে ৯ ডিসেম্বর দুই নেতাকে নয়াপল্টনে পুলিশের ওপর ককটেল হামলা মামলায় দুই নেতাকে গ্রেপ্তার দেখায় পুলিশ। দুই জনকে গ্রেপ্তারের পর বিএনপির এই সমাবেশের স্থান হিসেবে রাজধানীর গোলাপবাগ মাঠ ঠিক হয়।