বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

জানাজায় বিএনপি নেতার ডান্ডাবেড়ি খুললে ভালো হতো: তথ্যমন্ত্রী

  •    
  • ২১ ডিসেম্বর, ২০২২ ১৬:০২

‘আমি গাজীপুরের পুলিশ সুপার পর্যায়েও কথা বলেছি। ‘তারা বিষয়টি জানতেন না। যারা বিএনপি নেতাকে বহন করে এনেছিল, শুধু তারাই জানতেন; অন্যরা কেউ জানতেন না। তবে আমি মনে করি যে জানাজার সময় তার ডান্ডাবেড়ি এবং হাতকড়া খুলে দিলে ভালো হতো।’

মায়ের জানাজায় অংশ নেয়া বিএনপি নেতার ডান্ডাবেড়ি খুলে দিলে ভালো হতো বলে মনে করেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। এই ঘটনাটি অতিরিক্ত সতর্কতার কারণে হতে পারে বলেও মনে করেন তিনি।

গণমাধ্যমে এই ঘটনার ছবি আসার পর বিষয়টি নিয়ে গাজীপুরের পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলেছেন বলেও জানান মন্ত্রী।

বুধবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে হাছান মাহমুদ এ কথা জানান।

গাজীপুরের বোয়ালী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আলী আজমের মা সাহেরা বেগম গত রোববার বিকেলে মারা যান। মায়ের জানাজায় অংশ নিতে মঙ্গলবার গাজীপুর জেলা কারাগার থেকে প্যারোলে মুক্তি পেয়ে কালিয়াকৈরের পাবুরিয়াচালা এলাকায় আসেন আলী আজম।

জানাজায় অংশ নেয়ার সময় পুরোটা সময় হাতকড়া আর ডান্ডাবেড়ি পরিয়ে রাখা হয় এই বিএনপি নেতাকে। এ নিয়ে সমালোচনার মুখে পড়ে প্রশাসন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমি গাজীপুরের পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলেছি। ডান্ডাবেড়ি পরানো বা হাতকড়া পরানো, না পরানো হচ্ছে জেলা প্রশাসনের কাজ। সেটি আবার পুলিশের অধীনে নয় এবং একজন আইজিপি প্রিজনস আছেন সেই প্রশাসনের অধীনে। আমাদের পুলিশের যে মহাপরিদর্শক, তাদের অধীনে নয়।

‘কয়েকদিন আগে কয়েকজন জঙ্গি পালিয়ে গেছে। তাদের বিষয়ে যেভাবে সতর্কতা অবলম্বন করা দরকার ছিল সেটি করা হয়নি বিধায় তদন্তে উঠে এসেছে এবং তারা পালিয়ে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছে। এ জন্য তারা অতিরিক্ত সতর্কতা অবলম্বন করেছেন।’

গাজীপুরের পুলিশ সুপার পর্যায়েও বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন বলে জানান মন্ত্রী। বলেন, ‘তারা বিষয়টি জানতেন না। যারা বিএনপি নেতাকে বহন করে এনেছিল, শুধু তারাই জানতেন; অন্যরা কেউ জানতেন না। তবে আমি মনে করি যে জানাজার সময় তার ডান্ডাবেড়ি এবং হাতকড়া খুলে দিলে ভালো হতো।’

কালিয়াকৈর উপজেলার চন্দ্রা ত্রিমোড় এলাকায় গত ২৯ নভেম্বর আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে হামলার অভিযোগে বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের মামলায় গত ২ ডিসেম্বর গ্রেপ্তার করা হয় আলী আজমকে।

আলী আজমের ভাই আতাউর রহমান জানান, জেলা প্রশাসক বরাবর আবেদন করে ভাইকে প্যারোলে মুক্তি দেয়া হয়। জানাজা পরানোর সময় তার হাতকড়া ও ডান্ডাবেড়ি খুলে দিতে বলেছিলেন। কিন্তু পুলিশ খুলে দেয়নি।

এ বিষয়ে গাজীপুর জেলা কারাগারের সুপার মোহাম্মদ বজলুর রশিদ বলেন, ‘আলী আজমকে ৯ জন পুলিশ সদস্যসহ তার বাড়িতে পাঠানো হয়েছিল। সরকারের উচ্চ পর্যায়ের নির্দেশনা অনুযায়ী এবং জেল আইন অনুযায়ী তাকে পাঠানো হয়েছিল।’

গাজীপুর কোর্টের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মকবুল হোসেন বলেন, ‘জেল কর্তৃপক্ষ ও পুলিশ যেভাবে আসামিকে নিতে স্বাচ্ছন্দবোধ করেন সেভাবেই নেবেন। তারা চাইলে হাতকড়া লাগিয়ে নিতে পারেন অথবা ডান্ডাবেড়ি লাগানোর মতো আসামি হলে সেটাও তারা পারেন।

‘আবার অনেক সময় জেলখানায় থাকা অবস্থায় আসামির আচরণের উপর নির্ভর করে সে কীভাবে প্যারোলে যাবে। সুতরাং এটা সম্পূর্ণ কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত।’

এ বিভাগের আরো খবর