প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করলে তাকে ক্ষমা করে দেয়ার কথা জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। বলেছেন, সে ক্ষেত্রে সরকারকে সহযোগিতা করবে তার দল।
রাজি না হলে পদত্যাগ করানোর জন্য সব পদক্ষেপ নেয়া হবে জানিয়ে তিনি এও বলেছেন, তখন জনগণ আর ক্ষমা করবে না।
বুধবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ নামে বিএনপি ও জামায়াতপন্থি পেশাজীবী সংগঠনের আয়োজনে এক প্রতিবাদ সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
গয়েশ্বর মনে করেন, সরকারের পদত্যাগের সময় হয়ে গেছে। এ সরকার আর ক্ষমতায় থাকতে পারবে না।
তিনি বলেন, ‘নিজ ইচ্ছায় পদত্যাগ করলে হয়তো জনগণ ক্ষমা করে দিতে পারে। অন্যথায় পরিণত ভালো হবে না। জনগণ আপনাদের ছাড়বে না।’প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জনগণের ভোটে নির্বাচিত নন দাবি করে বিএনপি নেতা বলেন, ‘আন্দোলন আমরা যতটুকু করি না কেন আমি জানি, আপনাদের যেতেই হবে। আমি এও বলতে পারি, আন্দোলন না করলেও আপনাদের যেতে হবে।
“আপনার যাওয়া ছাড়া বিকল্প কোনো পথ খোলা নাই। সুতরাং যেতেই যখন হবে, সময় মতো ফিরে যান। এখনও সময় আছে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়ে বলে যান, যা হওয়ার হয়েছে, আমাকে ক্ষমা করেন, আমি এ ধরনের কাজ আর করব না। আমি সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে সরে দাঁড়াব’।”
বিএনপি নেতার মতে, জনগণ এখন আঘাত সইতে ভয় পাচ্ছে না। তাই সরকার তাদেরকে আর ঠেকিয়ে রাখতে পারবে না। তিনি বলেন, ‘জনগণ যখন তার অধিকার আদায়ের সক্রিয় হয়, সাহসী হয়, তখন তারা প্রস্তুত থাকে বুক পেতে দেয় গুলি খাওয়ার জন্য। সেই জনগণকে কখনও থামিয়ে রাখা যায় না। বিষয়টি সরকারকে স্মরণ রাখতে হবে।’
সরকারকে ইতিহাসের সর্বোচ্চ নিষ্ঠুরতা দেখাচ্ছে বলেও মনে করেন গয়েশ্বর। তিনি বলেন, ‘তাদের যে নিষ্ঠুরতা ইতিহাস, তা জেনে আর কোনোদিন কেউ চেঙ্গিস খান, হিটলার ও স্বৈরাচারদের গল্প শুনবে না। …সুতরাং সবকিছুই সীমা আছে। সীমা লংঘন করলে ঈশ্বর নাকি ক্ষমা করে না।’
আয়োজক সংগঠনের আহ্বায়ক এ জেড এম জাহিদ হোসেনের সভাপতিত্ব ও সদস্যসচিব কাদের গনি চৌধুরীর সঞ্চালনায় এতে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপিপন্থি বেসরকারি শিক্ষকদের সংগঠন বাংলাদেশ শিক্ষক কর্মচারী ঐক্যজোট সভাপতি সেলিম ভুঁইয়া, বিএনপিপন্থি চিকিৎসকদের সংগঠন ড্যাব সভাপতি হারুন অর রশিদ, বিএনপিপন্থি প্রকৌশলীদের সংগঠন এ্যব এর সভাপতি রিয়াজুল ইসলাম রিজু এবং বিএনপিপন্থি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের সংগঠন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি সদস্যসচিব মুর্শেদ হাসান খান ও বিএনপিপন্থি ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সহ-সভাপতি রাশেদুল হকও এ সময় বক্তব্য রাখেন।