‘আগুন লেগে ঘরে থাকা সব পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। ঘর থেকে একটি সুতাও বের করতে পারিনি।’ কান্নাজড়িত কণ্ঠে কথাগুলো বলছিলেন গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের ওষুধ ব্যবসায়ী জুয়েল মিয়া। বাড়ির পাশে থাকা পাটের গুদামে লাগা আগুন ছড়িয়ে তার বাড়িতে লাগে। মুহূর্তে পুড়ে যায় তার থাকার ঘর, আসবাবসহ সব।
উপজেলার মহিমাগঞ্জ বাজারে আজাহার মিয়ার পাটের গুদামে বুধবার সকাল ১১ টার দিকে আগুন লাগে। এই আগুন ছড়িয়ে পুড়ে যায় পাশের চারটি বাড়িও। দুপুর ১টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে ফায়ার সার্ভিস।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকালে আজাহার মিয়ার পাটের গুদামে আগুন লাগে। এখান থেকেই আগুন পাশের চারটি বাড়িতে ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে গোবিন্দগঞ্জ ও সোনাতলা ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে তার আগেই গুদামের পাট ও বাড়ি চারটির ১০ থেকে ১২টি ঘর ও আসবাবপত্র পুড়ে যায়।
আগুনে ঘর পুড়ে যাওয়ার পর আহাজারি করছেন জুয়েল মিয়া। ছবি: নিউজবাংলা
আগুনে পুড়েছে মহিমাগঞ্জ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আনোয়ারুল ইসলাম প্রধানের শ্বশুরের বাড়ি। তিনি বলেন, ‘আমার শ্বশুরের বাড়িসহ প্রতিবেশী ফেরদৌস আলম, মজিবর রহমান ও জুয়েল মিয়ার বাড়িতে আগুন লাগে। এতে চার বাড়িতে থাকা ১০ থেকে ১২টি ঘর, আসবাবপত্র ও নগদ টাকা পুড়ে গেছে। এতে প্রায় ১০ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে।’
আগুনে ক্ষতি হয়েছে পাট ব্যবসায়ীরও। ক্ষতিগ্রস্ত গুদামের মালিক আজাহার জানান, আগুনে গুদামে থাকা ৩ হাজার মণ পাট পুড়ে গেছে।
গোবিন্দগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস স্টেশন ইনচার্জ আরিফ আনোয়ার জানান, স্থানীয়দের সহায়তায় দেড় ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে দুপুর ১টার দিকে আমরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনি। আগুন লাগার কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে প্রাথমিকভাবে বৈদ্যুতিক সর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ঘটনাস্থল থেকে গোবিনন্দগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার আরিফ হোসেন বলেন, ক্ষতিগ্রস্তদের সহযোগিতা করা হবে।