এক দশকেরও বেশি সময় ওএসডি থাকা এক পুলিশ সুপারকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠিয়েছে সরকার। তার নাম মুনির হোসেন। তিনি পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগে বিশেষ পুলিশ সুপার হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
২০১১ সালের ১৯ জুলাই মুনির হোসেনকে ওএসডি করে সদর দপ্তরে রাখা হয়। সাড়ে ১১ বছর পর সেখান থেকেই তিনি গেলেন অবসরে।
এ নিয়ে পুলিশ সুপার পর্যায়ের মোট সাত কর্মকর্তাকে অবসরে পাঠানো হলো। এদের মধ্যে সিআইডিরই চারজন। অবসরে পাঠানো হয়েছে একজন সচিবকেও।
আগের সাতজনের মতো এবারও কোনো সুনির্দিষ্ট কারণ উল্লেখ না করেই মঙ্গলবার জারি করা হয়েছে প্রজ্ঞাপন। আগের সাতটি প্রজ্ঞাপনের মতোই সরকারি চাকরি আইন ২০১৮-এর ৪৫ ধারার বিধান অনুযায়ী জনস্বার্থের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। তবে কী সেই স্বার্থ, তার ব্যাখ্যা দেয়া হয়নি।
এতে আরও বলা হয়, জনস্বার্থে জারিকৃত এই আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে। অর্থাৎ মুনির এরই মধ্যে অবসরে চলে গেছেন।
আগের সাতজনের মতো মুনিরকে অবসরে পাঠানোর কারণ হিসেবেও জনস্বার্থের কথাটি জানানো হয়েছে। তবে কী সেই স্বার্থ সেটি উল্লেখ করা হয়নি।
এর আগে যাদের অবসরে
গত ১৬ অক্টোবর প্রথম বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয় তথ্যসচিব মকবুল হোসেনকে। আচমকা এই আদেশ জারির পেছনে কী কারণ, এ নিয়ে আলোচনা-পর্যালোচনার মধ্যে দুদিন পর অবসরে পাঠানো হয় সিআইডির মীর্জা আব্দুল্লাহেল বাকী ও মো. দেলোয়ার হোসেন মিঞা এবং পুলিশ অধিদপ্তরের মো. শহীদুল্ল্যাহ চৌধুরীকে। তারাও পুলিশ সুপার পদমর্যাদার ছিলেন।
এরপর ৩১ অক্টোবর অবসরে পাঠানো হয় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ-সিআইডির পুলিশ সুপার আলমগীর আলম ও ট্যুরিস্ট পুলিশের সুপার মাহবুব হাকিমকে।
গত ১৬ নভেম্বর অবসরে পাঠানো হয় রাজশাহী রেঞ্জ ডিআইজি অফিসে সংযুক্ত আলী হোসেন ফকিরকে। সেখানে সংযুক্ত করার আগে তিনি খুলনা তৃতীয় আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন- এপিবিএনের অধিনায়ক ছিলেন।
২১ নভেম্বর অবসরে পাঠানো হয় অতিরিক্ত কমান্ড্যান্ট (পুলিশ সুপার) ব্যারিস্টার মো. জিল্লুর রহমান।
শুরু থেকেই সরকার এই বিষয়টি নিয়ে চুপ ছিল। তবে ৩ নভেম্বর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে সংলাপে এক প্রশ্নে বলেন, ‘এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া। চাকরির ২৫ বছর বয়স হলে যদি কারও কর্মদক্ষতার ঘাটতি পড়ে যায়, দেশপ্রেমে ঘাটতি পড়ে যায়, তাহলে সরকার ব্যবস্থা নিতে পারে।’
তবে কর্মকর্তার দেশপ্রেম ও কর্মদক্ষতায় কী ঘাটতি পড়েছিল, সেই বিষয়টি স্পষ্ট করেননি তিনি।