বগুড়ায় বিক্ষোভ চলার সময় ছাত্রলীগের এক নেতাকে আটকের পর র্যাবের হাত থেকে ছিনিয়ে নেয়ার ঘটনা ঘটেছে।
শহরের প্রাণকেন্দ্র সাতমাথায় মুজিব মঞ্চের সামনে মঙ্গলবার বিকেলে ওই নেতাকে ছিনিয়ে নেন ছাত্রলীগের অন্য নেতা-কর্মীরা। এ সময় বগুড়া র্যাব-১২ এর কোম্পানি কমান্ডার তৌহিদুল মবিনও ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন।
ছিনিয়ে নেয়া ছাত্রলীগ নেতার নাম আব্দুর রউফ। তিনি বগুড়া সরকারি আজিজুল হক কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক। নিজ দলীয় ছাত্রনেতা তাকবীর ইসলাম খানকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা মামলার প্রধান আসামি তিনি। এই মামলার কারণে ছাত্রলীগ থেকেও ইতোপূর্বে রউফকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
ছিনিয়ে নেয়ার ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী একাধিক গোয়েন্দা সংস্থার সূত্র জানায়, সম্প্রতি বগুড়া জেলা ছাত্রলীগের ৩০ সদস্য বিশিষ্ট আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়। এর বিরোধিতা করে জেলা ছাত্রলীগের একটি অংশ কমিটি ঘোষণার পর থেকেই প্রতিবাদ, বিক্ষোভ করে আসছে।
কমিটিকে কেন্দ্র করে ছাত্রীলগের দুটি পক্ষ শহরে পাল্টাপাল্টি মহড়া দেয়া শুরু করে। জেলা আওয়ামী লীগও বিভক্ত হয় এই কমিটিকে কেন্দ্র করে।
চলমান এসব ঘটনার জেরে মঙ্গলবার বিকেলে বিক্ষোভ মিছিল বের করে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সজীব সাহা ও সাধারণ সম্পাদক আল মাহিদুল ইসলাম জয়ের আনুসারীরা।
এই মিছিলের মধ্যেই ছিলেন বগুড়া আজিজুল হক কলেজ শাখা ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রউফ। বিক্ষোভ মিছিল শেষে তাকে সাতমাথা এলাকা থেকে র্যাবের একটি দল আটক করে।
বিষয়টি টের পেয়ে ছাত্রলীগের অন্যান্য নেতা-কর্মীরা ঘটনাস্থলে এসে জোর করে রউফকে ছিনিয়ে নিয়ে নিয়ে যান।
এদিকে ছাত্রলীগ নেতাকে ছিনিয়ে নেয়ার বিষয়ে র্যাব-১২ এর কোম্পানি কোমান্ডার স্কোয়াড্রন লিডার তৌহিদুল মবিন খান বলেন, ‘আমরা অন্য একজনকে ভেবে তাকে আটক করেছিলাম। পরে তার নাম পরিচয় জানার পর আমরা ছেড়ে দিয়েছি।’
ছাত্রলীগ নেতারা তাকে ছিনিয়ে নিয়েছে কিনা জানতে চাইলে তৌহিদুল মবিন খান বলেন, ‘এখানে ছিনিয়ে নেয়ার কোনো ঘটনা ঘটেনি। ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা এসে তাকে নিয়ে গেছে।’
আটকের বিষয়ে জানতে আব্দুর রউফের নম্বরে কল দেয়া হলেও তা বন্ধ পাওয়া গেছে।