বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

২০১৪ ও ২০১৮ ভুলে যান: আওয়ামী লীগকে বিএনপি

  •    
  • ২০ ডিসেম্বর, ২০২২ ১৫:৫৯

‘আজকে আলোচনা করবেন না উনি (প্রধানমন্ত্রী), কথা বলবেন না! ওনার মনমতো উনি নির্বাচন করবেন। আমরা বলতে চাই, '১৪ সাল এবং '১৮ সাল ভুলে যেতে হবে। এই বাংলাদেশের নির্বাচন হলে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হবে।’

নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকার ছাড়া ভবিষ্যতে কোনো ভোট হবে না উল্লেখ করে ২০১৪ ও ২০১৮ সাল ভুলে যেতে আওয়ামী লীগকে পরামর্শ দিয়েছেন বিএনপির নেতারা।

মঙ্গলবার নয়াপল্টনে জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের আয়োজনে এক মানববন্ধনে এই পরামর্শ দেন বিএনপি নেতারা।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিএনপির ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান বলেন, ‘শেখ হাসিনা ২০১৪, ২০১৮ সালের মতো আরেকটি নির্বাচন করে ক্ষমতায় আসতে চান। কিন্তু সেই আশায় গুড়েবালি।

‘আজকে আলোচনা করবেন না উনি (প্রধানমন্ত্রী), কথা বলবেন না! ওনার মনমতো উনি নির্বাচন করবেন। আমরা বলতে চাই, '১৪ সাল এবং '১৮ সাল ভুলে যেতে হবে। এই বাংলাদেশের নির্বাচন হলে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হবে।’

উচ্চ আদালত নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থাকে অসাংবিধানিক ঘোষণার পর ২০১১ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচিত সরকারের অধীনে ভোটের ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনে। এরপর নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকারের দাবিতে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচন বর্জন করে তা প্রতিহতের ডাক দেয় বিএনপি-জামায়াত জোট।

সহিংসতার মধ্যে ভোট করে ফের ক্ষমতায় ফেরে আওয়ামী লীগ। বিএনপির অধীনে ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি এবং জাতীয় পার্টির অধীনে ১৯৮৮ সালেও হয় একতরফা নির্বাচন। কিন্তু মেয়াদপূর্তির আগেই ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হয় দুই সরকার।

জাতীয় পার্টির সরকার পদত্যাগ করে ১৯৯০ সালের ডিসেম্বরে। আর ১৫ ফেব্রুয়ারির ভোটের পর ক্ষমতায় এসে ৩০ মার্চ পদত্যাগ করে বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বের সরকার।

তবে দশম সংসদ নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগ সরকারের মেয়াদপূর্তি শেষে ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে ভোটের তারিখ ঘোষণা হয়। সেই নির্বাচনেও না যাওয়ার ঘোষণা দিলেও পরে বিএনপি তার ২০-দলীয় জোটের পাশাপাশি নতুন জোট ঐক্যফ্রন্ট নিয়ে তাতে অংশ নেয়। এই দুই জোট পায় কেবল ছয়টি আসন। কিন্তু আগের রাতে ভোট হয়ে যাওয়ার অভিযোগ আনে তারা।

এবার বিএনপি আবার দশম সংসদ নির্বাচনের আগের দাবিতে ফিরে গেছে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফেরানোসহ ১০ দফা দাবিও তুলে ধরেছে।

দাবি না মানলে কী হবে, সেটিও উল্লেখ করেন আমান। যদি বলেন, ‘৫২, ৬৯, '৯০-এর মতো আরেকটি গণ-অভ্যুত্থান ঘটিয়ে নির্দলীয় সরকার প্রতিষ্ঠিত করা হবে। তার অধীনে নির্বাচন হলে ইনশা আল্লাহ জনগণের সরকার নির্বাচিত হবে। সেই সরকার হবে বিএনপি সরকার।’

আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির জ্যেষ্ঠ সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘ঢাকা বিভাগের সমাবেশ থেকে আমরা ১০ দফা দিয়েছিলাম। ১০ দফার মূল কথা ছিল, এই অবৈধ সরকার পদত্যাগ করতে হবে, এই অবৈধ সংসদ বাতিল করতে হবে, একটি নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মাধ্যমে নির্বাচন হতে হবে, মানুষ যাতে নিজের হাতে ভোট দিয়ে তাদের পছন্দমতো প্রতিনিধি নির্বাচিত করতে পারে, জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে পারে।’

তিনি বলেন, ‘আমরা যখনই শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি দিই, সরকার তখনই বলে আমরা নাকি ভায়োলেন্স করব। অথচ আওয়ামী লীগের আমলে রক্ষীবাহিনী তৈরি করে দেশের ২০ হাজার মুক্তিযোদ্ধাকে হত্যা করা হয়েছিল। গুম, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড শুরু করেছিল।’

‘বিএনপি রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছে’ বলে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের মন্তব্যেরও জবাব দেন মোশাররফ। বলেন, ‘আমি পরিষ্কারভাবে বলতে চাই, এই সরকার ক্ষমতায় থাকার জন্য বিভিন্নভাবে ইতিহাসকে বিকৃত করছে। সত্যের সঙ্গে তাদের কোনো সম্পর্ক নেই। এ ধরনের কথা বলে দেশের জনগণকে তারা বিভ্রান্ত করতে চায়।

‘এরা গত ১৪ বছর ধরে ক্ষমতায় আছে দিনের ভোট রাতে করে। এ দেশের রাষ্ট্রকাঠামো একটি একটি করে ধ্বংস করেছে আওয়ামী লীগ।’

সভাপতির বক্তব্য মহিলা দলের সভানেত্রী আফরোজা আব্বাস ১০ ডিসেম্বর সমাবেশ নিয়ে বলেন, ‘তারা সমাবেশকে বানচাল করতে চেয়েছিল। কিন্তু তাতে লাভ হয়নি।

‘এই সরকারের আমলে নারীরা বেশি নির্যাতিত হয়েছে। নারীরা কান্না করে, গুম, খুন, গ্রেফতার হওয়া স্বামী-সন্তানদের জন্য। গুলি করে আমাদের ভাইদের হত্যা করছে। আমাদের ভয় দেখিয়ে লাভ নেই আমরা আর ভয় করি না।’

মহিলা দলের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হেলেন জেরিন খানও এ সময় বক্তব্য দেন।

এ বিভাগের আরো খবর