বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বিএনপির রূপরেখায় সরকার ভয় পেয়েছে: দুদু

  •    
  • ২০ ডিসেম্বর, ২০২২ ১৪:১৬

‘দেশকে বাঁচানোর জন্য বিএনপি রূপরেখা দিয়েছে, কিন্তু এই সরকার ও সরকারের সহযোগীরা এটা ভালো চোখে দেখছে না। ভালো না লাগারই কথা। কারণ এই রূপরেখা প্রতিষ্ঠিত হলে দেশে গণতন্ত্র ফিরে আসবে, মানুষের স্বাধীনতা আসবে। দুর্নীতিবাজ, হত্যা ও লুণ্ঠনকারীদের বিচারের মুখোমুখি হতে হবে। এই জন্যে তারা (আওয়ামী লীগ) রাষ্ট্র সংস্কারের ২৭ দফায় ভয় পেয়েছে।’

বিএনপি ‘রাষ্ট্র মেরামতে’ যে ২৭ দফা রূপরেখা দিয়েছে, তাতে সরকার ও তাদের সহযোগীরা ভয় পেয়েছে বলে মনে করেন বিরোধী দলটির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু।

মঙ্গলবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বাংলাদেশ ইয়ুথ ফোরাম নামের একটি সংগঠনের মানববন্ধনে এসব কথা বলেন বিএনপি নেতা।

আগের দিন সংবাদ সম্মেলন করে বিএনপি এই রূপরেখা প্রকাশ করে। এতে নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফেরানো, জাতীয় সংসদে নিজ দলের বিরুদ্ধে সংসদ সদস্যদের ভোট দেয়ার অধিকার নিশ্চিত করা, টানা দুই মেয়াদের বেশি কারও প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতি না থাকা, বেকার ভাতা চালুসহ নানা বিষয় উল্লেখ আছে।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বিএনপির এই রূপরেখাকে ভাঁওতাবাজি বলে উড়িয়ে দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘তারা ধ্বংস করছে। তারা মেরামত করতে কীভাবে? এটা একটা স্টান্টবাজি।’

দুদু বলেন, ‘দেশকে বাঁচানোর জন্য বিএনপি রূপরেখা দিয়েছে, কিন্তু এই সরকার ও সরকারের সহযোগীরা এটা ভালো চোখে দেখছে না। ভালো না লাগারই কথা। কারণ এ রূপরেখা প্রতিষ্ঠিত হলে দেশে গণতন্ত্র ফিরে আসবে, মানুষের স্বাধীনতা আসবে। দুর্নীতিবাজ, হত্যা ও লুণ্ঠনকারীদের বিচারের মুখোমুখি হতে হবে। এ জন্য তারা (আওয়ামী লীগ) রাষ্ট্র সংস্কারের ২৭ দফায় ভয় পেয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ স্মার্ট দেশ হবে। সে পর্যন্ত বাংলাদেশ থাকবে কি না আমার সন্দেহ হয়।

‘কারণ ১৪ বছরে দেশের যে অবস্থা করেছে! গণতন্ত্র হরণ করেছে, মানুষের বাকস্বাধীনতা নাই। পুলিশকে বিতর্কিত করা হয়েছে। সরকারি আমলাদের বিতর্কিত করা হয়েছে। এমন কোনো সেক্টর নাই যে বিতর্কিত করা হয় নাই, এমন কোনো পেশা নাই যে বিতর্কিত করা হয় নাই।’

ডিজিটাল করার নামে আওয়ামী লীগ ১০ থেকে ১২ লাখ কোটি টাকা লোপাট করেছে বলেও অভিযোগ করেন বিএনপি নেতা। বলেন, ‘সরকারি বা বেসরকারি এমন কোনো ব্যাংক নাই যেগুলো ফোকলা করে দেয়া হয়নি।

‘ইসলামী ব্যাংক প্রতিষ্ঠিত ব্যাংক ছিল। সেই ব্যাংক কবে বন্ধ হয়ে যায়- এ রকম একটা পরিস্থিতিতে চলে গেছে। যারা সরকারকে ঋণ দিত, তারা এখন সরকারের কাছ থেকে ঋণ নিচ্ছে।’

ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাসকে হেনস্তা করার অভিযোগ এনে তিনি বলেন, ‘বাঙালি জাতি অতিথিপরায়ণ। এই দেশে আমেরিকার রাষ্ট্রদূতের গাড়ি ভেঙে দেয়া হয়েছে। কিছুদিন আগে রাষ্ট্রদূত গুম হওয়া একটি পরিবারের বাসায় গিয়েছিলেন। তার সঙ্গে যে ব্যবহার করা হয়েছে তাতে পুরা বিশ্বে বাঙালি জাতির মাথা হেঁট হয়ে গেছে। এত নিকৃষ্ট হতে পারে কোনো দল, কোনো সরকার, এটা ভাবা যায় না। এখন তারা বলছে, তারা এটা বুঝতে পারে নাই।’

এই ঘটনায় একটি লাভও দেখছেন দুদু। তিনি বলেন, ‘বিএনপি কী অবস্থায় আছে আমেরিকার রাষ্ট্রদূত এখন বুঝতে পারবেন। আমেরিকা যদিও আগে সাতজনের নামে স্যাংশন দিয়েছিল, তবে এখন আরও ভালো করে বুঝব দেশের পরিস্থিতি কী।’

আয়োজক সংগঠনের সভাপতি সাইদুর রহমানের সভাপতিতে মানববন্ধনে আরও বক্তব্য দেন বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মো. রহমাতউল্লাহ।

এ বিভাগের আরো খবর