আওয়ামী লীগ উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য এবং ১৪ দলের সমন্বয়ক ও মুখপাত্র আমির হোসেন আমু বলেছেন, ‘এ দেশে হত্যা, খুন, ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে ক্ষমতার পালাবদল ছিল৷ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাই কেবল নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতার পালাবদলের দৃষ্টান্ত সৃষ্টি কয়েছেন। বিএনপির সেটা সহ্য হয় না।’
মহান বিজয় দিবস ও শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে কেন্দ্রীয় ১৪ দলের আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের শিখা চিরন্তন প্রাঙ্গণে সোমবার এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের শিখা চিরন্তন প্রাঙ্গণে সোমবার ১৪ দলের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। ছবি: নিউজবাংলা
আমির হোসেন আমু বলেন, ‘ডিসেম্বর মাস বিজয়ের মাস। এই বিজয়ের উৎসব থেকে দূরে সরিয়ে নেয়ার জন্য, মানুষকে বিপথগামী করার জন্য বিজয়ের মাসে ষড়যন্ত্র করছে বিএনপি। তারা আন্দোলন করার জন্য ডিসেম্বরকে বেছে নিয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘বিএনপি বলেছিল ১০ তারিখ আওয়ামী লীগ ক্ষমতাচ্যুত হবে, খালেদা জিয়া দেশ শাসন করবেন। তাদের সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন তো দূরের কথা, আজ তারা আঁস্তাকুড়ে নিক্ষিপ্ত হয়েছে। তারা বলছে তাদের নাকি ১০ তারিখ জয় হয়েছে।
তারা সরকারের সঙ্গে, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর মুচলেকা দিয়ে গোলাপবাগে সভা করেছে। এটাই নাকি তাদের জন্য বিজয়। এই বিজয় নিয়ে তারা সন্তুষ্ট। আমরাও চাই তারা সন্তুষ্ট থেকে আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রাখুক।’
১৪ দলের মুখপাত্র আরও বলেন, ‘বিএনপি নাকি সংবিধান কমিশন গঠন করেছে সংবিধান সংশোধনের জন্য। সংবিধানের জাতীয় চার মূল নীতি- গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা ও জাতীয়তাবাদ; যেটা জিয়াউর রহমান ছুড়ে ফেলে দিয়েছিলেন। আজ সেটা পুনঃস্থাপিত হয়েছে, এটা তাদের গাত্রদাহ।’
আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাসের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস, ১৪ দলের শরিক সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া, জাতীয় পার্টির (জেপি) সাধারণ সম্পাদক শেখ শহিদুল ইসলাম, গণ আজাদী লীগের সভাপতি এস কে শিকদার, ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন, গণতন্ত্র পার্টির সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন, তরিকত ফেডারেশন চেয়ারম্যান নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী, জাসদ সাধারণ সম্পাদক শিরিন আক্তার।
এছাড়াও বক্তব্য দেন ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফি প্রমুখ।