বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

থার্টি ফার্স্ট নাইটে বন্ধ পানশালা

  •    
  • ১৯ ডিসেম্বর, ২০২২ ১৯:০০

বড়দিন থেকে থার্টি ফার্স্ট নাইট- এই সময়ে আতশবাজি, ভুভুজেলা, পটকা না-ফোটানো যাবে না। থার্টি ফার্স্টে মহানগর পুলিশের অনুমতি নিয়ে কনসার্ট করা যাবে। তবে কোনো রাস্তায় যানজট করা যাবে না।

থার্টি ফার্স্ট নাইটে পানশালা বা বার বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন। চলতি ২০২২ সালের শেষ দিন ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরের দিন ২০২৩ সালের ১ জানুয়ারি সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টা সময় তালা ঝুলবে সেখানে।

সোমবার সচিবালয়ে খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব বড়দিন ও থার্টি ফার্স্ট নাইটে আইন শৃঙ্খলা সংক্রান্ত এক ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান মন্ত্রী।

বড়দিন থেকে থার্টি ফার্স্ট নাইট- এই সময়ে আতশবাজি, ভুভুজেলা, পটকা না-ফোটানোর অনুরোধও করেন কামাল। জানান, থার্টি ফার্স্ট নাইটে ফ্লাইওভার ও রাস্তায় কোনো কনসার্ট কিংবা নাচগানের আায়োজন করা যাবে না।

এই রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় প্রবেশাধিকার সীমিত করার করার কথাও জানান মন্ত্রী। বলেন, বহিরাগত কোনো ব্যক্তি যেন সেখানে ঢুকতে না পারেন, সেজন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

তিনি বলেন, ‘মহানগর পুলিশের অনুমতি নিয়ে কনসার্ট করা যাবে। তবে কোনো রাস্তায় যানজট করা যাবে না। কেউ যাতে অবৈধভাবে মাদক কারবারি করতে না পারেন, সেই ব্যবস্থা রাখা হবে।’

৩১ ডিসেম্বরের সন্ধ্যায় দেশের পর্যটন এলাকায় নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে বলেও জানান মন্ত্রী। বলেন, ‘এ সময় অগ্নিকাণ্ড প্রতিরোধ ও মোকাবিলায় উদ্ধার টিমসহ অগ্নিনির্বাপণের গাড়ি ও অগ্নিনির্বাপণ কর্মী সতর্ক থাকবেন।’

মাদকদ্রব্য অপব্যহাররোধে ২৮ থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বিশেষ অভিযান চলবে বলেও জানান মন্ত্রী। বলন, ‘যে কোনো নাশকতারোধে সারা দেশে গোয়েন্দা তৎপরতা বাড়ানো হবে।’

২৫ ডিসেম্বর বড়দিন উদযাপনে গির্জা ও ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যা থেকে ঢাকা মহানগরীসহ দেশের সব এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক রাখার উদ্যোগ নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।

বড় দিনে ব্যাপক নিরাপত্তা

বড়দিনের নিরাপত্তার বিষয়টি তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, ‘এবার তেজাগাঁও ও রমনাসহ পাঁচ হাজার ৬৮২টি গির্জায় বড়দিন পালন হতে পারে। সবগুলো গির্জার নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হবে।’

বড় গির্জাগুলোতে নিরাপত্তা বাহিনীর পাশাপাশি খ্রিষ্টান সম্প্রদায় থেকে স্বেচ্ছাসেবী থাকার ব্যবস্থা করতে অনুরোধ করা হয়েছে বলেও জানান তিনি। বলেন, ‘কূটনৈতিক পাড়ায় বেশিরভাগ কূটনীতিক খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বী। সেখানে বিশেষ নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা বাহিনী মোতায়েন করা হবে। গির্জাগুলোতে সিসি ক্যামেরা বসানো থাকবে। গুরুত্বপূর্ণ গির্জাগুলোতে সুইপিং করা হবে। ডগ স্কোয়াডও থাকবে।’

২৪ ডিসেম্বর থেকে ২৬ ডিসেম্বর সকাল পর্যন্ত গির্জা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় পোশাকধারী পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোশাকের গোয়েন্দারাও থাকবে। খ্রিষ্টান অধ্যুষিত এলাকাগুলোতে থাকবে র‌্যাবের টহল।

কোনো অঘটন ঘটলে ৯৯৯-এ ফোন দেয়ার অনুরোধও করেন মন্ত্রী। বলেন, ‘তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।’

উৎসব কেন্দ্র করে জঙ্গি হুমকি আছে কি না- জানতে চাইলে কামাল বলেন, ‘এমন কিছু নেই। আমরা মনে করছি, জঙ্গিবাদের উত্থানের একটি চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু আমরা আগেই তা চিহ্নিত করেছি। তারপরেও আমরা সবাই সজাগ থাকব, যাতে কোনো অঘটনা না ঘটে।’

পলাতক জঙ্গি ধরতে চেষ্টা চলছে

আদালতে হাজিরা দিতে এসে পালিয়ে যাওয়া দুই জঙ্গিকে ধরতে চেষ্টা চলছে বলে জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘তাদের গ্রেপ্তারে সর্বাত্মক চেষ্টা চলছে। আমরা মনে করি, সংবাদমাধ্যমেরও সজাগ হতে হবে। কারও কাছে এ বিষয়ে কোনো তথ্য থাকলে তা জানাতে সবাইকে অনুরোধ করা হচ্ছে।’

এ ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটি প্রতিবেদন জমা দিয়েছে জানিয়ে কামাল বলেন, ‘সেই অনুসারে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। কারও ব্যাপারে আগে থেকে তথ্য থাকলেই কেবল মোবাইল চেক করা হয়। এছাড়া এমন কিছু ঘটে না।’

এ বিভাগের আরো খবর