রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে অংশ নেয়া যাওয়া ৯ জন মেয়র প্রার্থী উঠলেন এক মঞ্চে। এলাকার উন্নয়ন, যানজট নিরসন, ফুটপাত দখলমুক্ত করা এবং দুর্নীতি না করার অঙ্গীকার করেছেন তারা।
সোমবার দুপুরে রংপুর পাবলিক লাইব্রেরি মাঠে ‘জনগণের মুখোমুখি অনুষ্ঠানে’ এই প্রার্থীদের এক মঞ্চে তোলে সুশাসনের জন্য নাগরিক-সুজন।
সুজনের রংপুর নগর সভাপতি ফখরুল আনাম বেঞ্জুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন সুজন সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার।
অনুষ্ঠানে মেয়র প্রার্থীরা সরাসরি জনগণের কাছ থেকে পাওয়া নানা প্রশ্নের উত্তর দেন।
জাতীয় পার্টির প্রার্থী সদ্য বিদায়ী মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা বলেন, ‘আমি রংপুর সিটি করপোরেশনের গত পাঁচ বছর দায়িত্বে ছিলাম। এর মধ্যে দুটি খেলার মাঠ করেছি। নগরীর ৩৩টি ওয়ার্ডেই পরিকল্পিতভাবে উন্নয়ন কর্মকাণ্ড করা হয়েছে। আমার আমলে সিটিতে দৃশ্যমান উন্নয়নকাজ হয়েছে। কোনো কাজে অনিয়ম হয়নি। এবার নির্বাচিত হলে একটি বাসযোগ্য সিটি গড়ব।’
জলাবদ্ধতা নিরসন ও পরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থা, যানজন নিরসন, প্রশস্ত ও বিকল্প সড়ক নির্মাণ, প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ানো, হাইটেক পার্কের মাধ্যমে তরুণ-তরুণীদের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি, নাগরিক সেবা সহজ করার অঙ্গীকারও করেন তিনি।
আওয়ামী লীগের প্রার্থী হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া বলেন, ‘যখন জনপ্রতিধি হব তখন অনেক দায়বদ্ধতা থাকবে। সিটি করপোরেশনের মেয়র নির্বাচিত হলে আমি রংপুরকে একটি আধুনিক মডেল সিটি গড়ে তুলব। আমি সমবণ্টনে বিশ্বাসী, নগরীরের ৩৩টি ওয়ার্ডেই সমান উন্নয়ন করব।’
স্বতন্ত্র প্রার্থী লতিফুর রহমান মিলন বলেন, ‘আমি মনে করি রংপুর সিটির উন্নয়ন করতে চাইলে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থেকে কাজ করতে হবে। তা ছাড়া রংপুরকে মডেল গড়া সম্ভব না।
‘আমি দুর্নীতিমুক্ত সিটি করপোরেশন গড়তে চাই। সিটির নাগরিকের মর্যাদা, শক্তি সামর্থ্য ফিরিয়ে দিতে কাজ করতে চাই।’
সুজন সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ‘জনগণ স্বচ্ছতা, জবাবদিহি আর সত্যিকারের অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনে বিশ্বাসী। আগামী নির্বাচনে যে প্রার্থী নির্বাচিত হবেন, তারা জনতার কাছে দেয়া ওয়াদা পুরোপুরি বাস্তবায়ন করবেন বলে অঙ্গীকার করেছেন।’
তিনি বলেন, ‘গত রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছিল, সেটা আমরা লিখিতভাবে নির্বাচন কমিশনকে জানিয়েছিলাম। এবারও আমরা আশা করব সুষ্ঠু ভোট হবে।