বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

তৃণমূল বিএনপির নিবন্ধন নিয়ে সিদ্ধান্ত আদালতের রায় দেখে: ইসি

  •    
  • ১৯ ডিসেম্বর, ২০২২ ১৬:০৭

নির্বাচন কমিশনার আলমগীর বলেন, ‘রায় মানতে পারি অথবা আমরা আপিল করতে পারি। আমরা রিভিউ আবেদন দেখতে পারি। আদালতের আদেশ না দেখে সিদ্ধান্ত নেয়া যাবে না। আইন যেভাবে আছে, সেভাবে কাজ করবে। আইনের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত।’

রাজনৈতিক দল হিসেবে ব্যারিস্টার নাজমুল হুদার নেতৃত্বাধীন তৃণমূল বিএনপিকে নিবন্ধন দেয়া হবে কি না, তা নিয়ে আদালতের রায় দেখে সিদ্ধান্ত নেবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

সোমবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নে এ কথা জানান নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর।

এর আগের দিনই অবশ্য তৃণমূল বিএনপিকে নিবন্ধন দিতে হাইকোর্টের আদেশ বহাল রাখে আপিল বিভাগ। এর ফলে নিবন্ধন দিতে আইনি আর কোনো বাধা নেই বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।

নির্বাচন কমিশনার আলমগীর বলেন, ‘আদালতের রায় অফিশিয়ালি পেলে কমিশন বসে সিদ্ধান্ত নেবে। সব সিদ্ধান্ত কোর্টের আদেশ দেখে নিতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘রায় মানতে পারি অথবা আমরা আপিল করতে পারি। আমরা রিভিউ আবেদন দেখতে পারি। আদালতের আদেশ না দেখে সিদ্ধান্ত নেয়া যাবে না। আইন যেভাবে আছে, সেভাবে কাজ করবে। আইনের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত।’

২০১৮ সালের ১৪ জুন নির্বাচন কমিশন এক নোটিশের মাধ্যমে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে নিবন্ধনের জন্য আবেদন ও চালান জমা না দেয়াসহ কয়েকটি কারণে তৃণমূল বিএনপিকে নিবন্ধিত না করার বিষয়টি জানালে, ওই নোটিশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট করেন নাজমুল হুদা।

পরে ১৪ আগস্ট তৃণমূল বিএনপিকে নিবন্ধন দেয়ার নির্দেশ কেন দেয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করে হাইকোর্ট। এরপর ৪ নভেম্বর এ বিষয়ে রায় দেয়া হয়। পরে এ নিয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করে নির্বাচন কমিশন।

সিসি ক্যামেরা সমাধান নয়

নির্বাচনে সিসি ক্যামেরা ব্যবহার কোনো সমাধান নয় বলে মনে করেন নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর।

তিনি বলেন, ‘সিসি ক্যামেরা কোনো সল্যুশন (সমাধান) নয়। এটা আইসিইউতে থাকার মতো। বিএনপির ৫ আসন শূন্য হবে এটা অপ্রাত্যাশিত ছিল। তা ছাড়া এই বিষয়ে বাজেটও ধরা হয়নি।’

বিএনপির সংসদ সদস্যদের পদত্যাগের কারণে শূন্য পাঁচ সংসদীয় আসনে রোববার উপনির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে ইসি। এসব ভোটে সিসি ক্যামেরা থাকবে কি না, সে বিষয়ে পরে কমিশন সিদ্ধান্ত জানাবে বলে বলা হয়।

বাজেটস্বল্পতায় বিএনপির ছেড়ে দেয়ার কারণে শূন্য আসনের উপনির্বাচনে সিসি ক্যামেরা ব্যবহার নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেন এই নির্বাচন কমিশনার। তিনি বলেন, ‘অনেক নির্বাচনে সিসি ক্যামেরা ছিল না, অথচ কোনো অঘটন ঘটেনি। এবার নির্বাচনে প্রতিযোগিতা হবে, এতে ব্যালান্স হবে। ফলে নির্বাচনে সিসি ক্যামেরা লাগবে না।’

বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিবি) থোক বরাদ্দ দিয়ে সিসি ক্যামেরা কেনা যায় কি না, এমন প্রশ্নে মো. আলমগীর বলেন, ‘এটা দিয়ে কেনা সম্ভব নয়। এডিপির টাকা প্রকল্পে খরচ করা যায়। সিসি ক্যামেরা রেভিনিউয়ের টাকায় কিনতে হয়। তারপরও ভাোট হতে বাকি আছে। যদি প্রয়োজন হয় তবে কমিশন বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নেয়া হতেও পারে।’

এ বিভাগের আরো খবর