আওয়ামী লীগ সরকার না চাইলে বিএনপিকে নির্বাচনে অংশ নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।
সোমবার সচিবালয়ে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) নবনির্বাচিত নেতাদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
এ সময় বিএনপি নেতা ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনের সাম্প্রতিক এক বক্তব্যের সমালোচনা করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন যদি এ সরকার না চান, তাহলে নির্বাচনে আসেন। তখন বোঝা যাবে জনগণ এই সরকারকে চায় না তাদেরকে চায়। তারা তো জনগণের কাছে বহুবার আহ্বান জানিয়েছেন।
‘১০ ডিসেম্বর সরকার পতনের ডাক দিয়েছিলেন, সেদিন সরকারকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করবেন, কিন্তু সেদিন তারা নিজেরা পদত্যাগ করে চলে গেছেন।’
বিএনপির ‘রাষ্ট্র সংস্কারের’ বক্তব্য প্রসঙ্গে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘তারা কি রাষ্ট্র সংস্কারের নামে দেশকে জিয়াউর রহমানের মার্শাল ডেমোক্র্যাসিতে (সামরিক গণতন্ত্র) নিয়ে যেতে চান, সেটিই হচ্ছে আমার প্রশ্ন। আজ দেশ এগিয়ে যাচ্ছে, জাতিসংঘের মহাসচিব, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট, বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট থেকে শুরু করে পৃথিবীর সব নেতা বাংলাদেশের প্রশংসা করছেন।’
‘সম্প্রতি বিশ্বব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট জানিয়েছেন এই সংকটময় পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ যেভাবে উন্নয়ন অগ্রগতি করেছে, সেটা অন্য দেশের জন্য উদাহরণ৷ যাদের জন্ম আসলে অগণতান্ত্রিকভাবে, তারা যখন রাষ্ট্র সংস্কারের কথা বলে তখন মানুষ ভাবে বিএনপি আবার মার্শাল ডেমোক্র্যাসি ফিরিয়ে আনতে চায়।’
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বিষয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সব মানুষের ডিজিটাল নিরাপত্তা দিতে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন করা হয়েছে। ডিজিটালভাবে মানহানির শিকার হওয়ার পর প্রতিকার পেতে অনেক সাংবাদিকও এই আইনের আশ্রয় নিয়েছেন। এ আইনের কোনো অপপ্রয়োগ যাতে না হয়, তা নিয়ে আমরা সতর্ক।
‘এখন মামলা হলেই সাংবাদিকদের গ্রেপ্তার করা যায় না। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনকে এখন জামিনযোগ্য করা হয়েছে। এটি নিয়ে যে প্রশ্ন ছিল, তার অনেকগুলোর নিরসন করা হয়েছে। যখনই কোনো সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা হওয়ার কথা আমার কানে আসে, আমার যা যা করা দরকার, তা আমি করি।’
সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি নিহত হওয়ার ঘটনায় আটকে থাকা তদন্ত নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন ও আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের সঙ্গে কথা বলার প্রতিশ্রুতিও দেন তথ্যমন্ত্রী।