ভোলার চারফ্যাশনে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনের স্বতন্ত্র এক প্রার্থীর গাড়ি ও অফিস ভাঙচুরের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
রোববার রাত ৮টার দিকে উপজেলার দুলারহাট থানার নীলকমল ইউনিয়নে ঘোষেরহাট বাজারে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
মোটরসাইকেল প্রতীক স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী চরফ্যাশন উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ইকবাল হোসেন লিখনের গাড়ি ও অফিসে হামলায় অভিযুক্ত মো. আলমগীর হোসেন হাওলাদার আওয়ামী লীগের মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, আহত হয়েছেন শতাধিক নেতা-কর্মী। তাদের চরফ্যাশন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হামলাকারীরা অফিসে ঝুলানো বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতার ছবি ও আসবাবপত্র ভাঙচুর করেছে। দেশীয় অস্ত্র ও লাঠিসোঁটা ব্যবহার করেছে ।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ২৯ ডিসেম্বর নির্বাচন উপলক্ষে প্রতীক বরাদ্দের পর থেকে মোটরসাইকেল প্রতীক স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী ইকবাল হোসেন প্রচার, গণসংযোগ ও উঠান বৈঠক করে আসছেন। রোববার হঠাৎ করে নৌকার প্রার্থী আলমগীর হাওলাদারের দুই শতাধিক কর্মী-সমর্থক তার নির্বাচনি অফিসে হামলা চালায়।
খবর পেয়ে মোটরসাইকেল প্রতীকের কর্মী-সমর্থকরা প্রচার গাড়ি উদ্ধার করতে গেলে তাদেরও পিটিয়ে আহত করা হয়। এ সময় আরও দুটি অটোরিকশা ভাঙচুর করে আওয়ামী লীগের মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. আলমগীর হোসেন হাওলাদারের লোকজন।
অভিযোগ সম্পর্কে নৌকার প্রার্থী আলমগীর হাওলাদার বলেন, ‘রোববার সন্ধ্যার পর নীলকমল ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডে উঠান বৈঠকে যাওয়ার সময় ইকবাল হোসেন লিখনের নেতৃত্বে তার কর্মী-সমর্থকরা আমার প্রচার গাড়ি ভাঙচুর করে। এতে ১৫ কর্মী-সমর্থক আহত হন।’
স্বতন্ত্র প্রার্থী ইকবাল হোসেন লিখন বলেন, ‘নৌকার প্রার্থী আলমগীর হাওলাদার নিজের পরাজয নিশ্চিত জেনে কয়েক দিন ধরে আমার নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের হুমকি-ধমকি দিয়ে আসছে। আজ আমার বাড়ির সামনের বাজারে অফিসে হামলা-ভাঙচুর করেছে। এসবের জবাব নীলকমল ইউনিয়নের সাধারণ মানুষ ২৯ ডিসেম্বর ভোটের মাধ্যমে দেবে।’
দুলারহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনোয়ারুল হক জানান, পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
চরফ্যাশন উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা জানান, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।