মহান বিজয় দিবস পালনে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের সজ্জায় বেলুনের বদলে কনডম ব্যবহার করার ঘটনা তদন্তে কমিটি করা হয়েছে। এর সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে এক কর্মচারীকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।
১০০ শয্যাবিশিষ্ট সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা সুমন কুমার পোদ্দার নিউজবাংলাকে জানান, শনিবার রাতে জরুরি বিভাগের ইনচার্জ রেজাউল করিমকে এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। ঘটনা তদন্তে ৪ সদস্যের কমিটি গঠন করেছেন হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক আবদুস সোবাহান।
জরুরি বিভাগে ১৬ ডিসেম্বরের সজ্জার ছবি ও ভিডিও ভাইরাল হয় ফেসবুকে। ছবিসহ পোস্টে পোস্টদাতারা অভিযোগ করেন, বিজয় দিবস উপলক্ষে সাজানো বেলুনগুলোর পাশাপাশি কিছু কনডমও ফুলিয়ে ঝোলানো হয়েছে। এ নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা হয় ফেসবুকে।
ভাইরাল ভিডিওতে দেখা যায়, জরুরি বিভাগের দরজাসহ ভেতরের কক্ষের একাধিক অংশে জন্মদিনের নানা রঙের বেলুন ও সাদা রঙের সরকারি কনডম ফুলিয়ে ঝোলানো হয়েছে। কিছুক্ষণ পর শুধু কনডমগুলো কেউ ফুটিয়ে ফেলেছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত সিনিয়র স্টাফ নার্স রেজাউল করিম বলেন, ‘জরুরি বিভাগ সাজানোর জন্য যথেষ্ট পরিমাণ বেলুন ছিল না। তাই জরুরি বিভাগে বসেই আমাদের হাসপাতালের ৫ থেকে ৬ জনের সঙ্গে পরামর্শ করি। পরে সবার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সামান্য কিছু কনডমের বেলুন ব্যবহার করি। এখন মনে হচ্ছে আমাদের এটি করা উচিত হয়নি।’
সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক আবদুস সোবহান বলেন, ‘বিজয় দিবসে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে যে ঘটনাটি ঘটেছে সেটা মেনে নেয়ার মতো না। এই ঘটনায় সিনিয়র স্টাফ নার্স রেজাউল করিমকে জরুরি বিভাগের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।
‘এমন ঘটনা কীভাবে ঘটল সে বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য জুনিয়র কনসালট্যান্ট (অর্থো) মফিজুল ইসলামকে প্রধান করে শনিবার ৪ সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।’
এ ঘটনায় হাসপাতালের তদারকির গাফিলতি ছিল কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমরা ঘটনার দিন সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে সাজসজ্জার বিষয়টি তদারকি করেছি। তখন কনডম দিয়ে ফুলানো বেলুন দেখতে পাইনি।
‘মূলত এ ঘটনাটি ঘটেছে এর পরে। পরের দিন শুক্রবার সকালের দিকে ফেসবুকে দেখতে পাই এই ঘটনা।’