ফতুল্লার একটি বাসায় গ্যাস লাইনের লিকেজ থেকে ধরে যাওয়া আগুনে মা ও মেয়ে দগ্ধ হয়েছেন। তাদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে।
সদর উপজেলার ফতুল্লার টাগারপার এলাকায় রোববার ভোরে এ ঘটনা ঘটে।
দগ্ধরা হলেন পোশাক কারখানার শ্রমিক নার্গিস বেগম ও তার মেয়ে মরিয়ম আক্তার। তাদের বাড়ি সিরাজগঞ্জের শাহাদাতপুর উপজেলার গোপালপুর গ্রামে। ভাড়া থাকেন ফল্লার টাগারপারে।
ফতুল্লা মডেল থানার ওসি রিজাউল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন৷ তিনি বলেন, ‘গ্যাস লিকেজ থেকে আগুনে দগ্ধ মা ও মেয়েকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে।’
আগুনে দগ্ধ নার্গিসের বেগমের দেবর সুলতান মিয়া বলেন, ‘রাত আড়াইটার দিকে ওয়াজ মাহফিলের দোকান শেষ করে টাগারপারের বাড়িতে যাই । অনেকক্ষণ পর চিৎকার শুনে নার্গিসের ঘরে গিয়ে দেখি তার কপালসহ শরীর পুড়ে গেছে। তার মেয়ের শরীরেরও বিভিন্ন জায়গায় আগুনে পুড়েছে।
প্রথমে তাদের নারায়ণগঞ্জ শহরের ৩০০ শয্যা খানপুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়। কিন্তু সিট না থাকার কারণে পরে তাদেরকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়।’
ফতুল্লার বিসিক ফায়ার সার্ভিস সিনিয়র স্টেশন অফিসার মোহাম্মদ আলম বলেন, ‘রান্না ঘরের গ্যাস লাইনের পাইপের লিজেক ছিল। ধারণা করা হচ্ছে, রান্নার জন্য দেশলাই জ্বালানো হলে আগুন ধরে যায়।’