বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

উকরি বিলে অবাধ ওড়াওড়ি

  •    
  • ১৮ ডিসেম্বর, ২০২২ ১১:৪২

প্রতি বছর শীতের শুরুতেই দূরদুরান্ত থেকে পাখিগুলো আসে আশ্রয় ও খাদ্যের আশায়। তাদের কলকাকলিতে মুখর হয় পুরো বিল।

বিস্তীর্ণ জলরাশির মাঝে কচুরিপানা, শাপলা, শালুক আর পদ্ম পাতা। সেসবের ফাঁকে ফাঁকে বসা বক, রাঙা ময়ূরী, ছোট স্বরালী, সারস, গাঙচিল, পানকৌড়িসহ নানা প্রজাতির পাখি। কখনও জলকেলি, কখনও মুক্ত আকাশে ওড়াওড়ি, আবার কখনও মাছ শিকারের জন্য ওত পেতে থাকা।

ভোর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত পাখির এমন বিচরণ চোখে পড়বে ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার সীমান্তবর্তী উকড়ি বিলে।

প্রতি বছর শীতের শুরুতেই দূরদুরান্ত থেকে পাখিগুলো আসে আশ্রয় ও খাদ্যের আশায়। তাদের কলকাকলিতে মুখর হয় পুরো এলাকা।

স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, উকড়ি বিলের চারপাশে শাপলা আর পদ্ম পাতা জন্মেছে অনেক আগে, যেগুলোতে নিরাপদ আশ্রয় গড়ে তুলেছে পাখিরা। দিনভর বিলের বিভিন্ন প্রান্তে শামুক, মাছ শিকার করে তারা। পাখিদের এ মেলা দেখতে প্রতিদিন বিলে ভিড় করেন অনেকে, যাদের জন্য ব্যবস্থা করা হয়েছে নৌকার।

বিলসংলগ্ন করিঞ্চা গ্রামের রাশেদুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের বিলে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত হাজার হাজার পাখি উড়ে বেড়ায়। দেখতে অনেক ভালো লাগে।

‘শাপলা পাতার ফাঁকে ফাঁকে হাজার হাজার পাখি বসে থাকে; সারা দিন বিলে ঘুরে বেড়ায়।’

একই গ্রামের আমিন হোসেন বলেন, ‘এখানে বিলের পাখি দেখতে অনেকেই আসে। আগে পাখি শিকার করতে মানুষ আসত, কিন্তু এখন বিলের ইজারাদার কবীর হোসেনের কঠোরতার কারণে কেউ এটা করতে পারে না।

‘স্থানীয় পুলিশ ফাঁড়ির লোকজনও পাখি শিকারিদের বিরুদ্ধে অভিযান করে। কোনো উৎপাত না থাকায় এখানে পাখিদের নিরাপদ আশ্রয় তৈরি হয়েছে।’

ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর থেকে পাখি দেখতে আসা মশিউর রহমান বলেন, ‘পাখির প্রতি আমার আলাদা একটি ভালোবাসা কাজ করে। এখানে প্রচুর পরিমাণ দেশি-বিদেশি পাখি আছে শুনে দেখতে এসেছি।

‘খুব ভালো লাগছে বিভিন্ন প্রজাতির পাখি দেখে। এখানে পাখি দেখার জন্য নৌকার ব্যবস্থাও আছে।’

বিলের ইজারাদার কবীর হোসেন বলেন, ‘করিঞ্চা গ্রামের এই বিলের আয়তন প্রায় ২২৫ একর। এখানে পাখি রয়েছে ২০ থেকে ২৫ প্রজাতির। পাখির দেখভাল করার জন্য আমাদের এখানে যারা কাজ করে তাদের বলা হয়েছে। কেউ যেন উৎপাত না করতে পারে, সে জন্য আমরা সব সময় সচেতন থাকি।

‘আসলে পাখির সঙ্গে আমাদের একটা সম্পর্ক তৈরি হয়েছে। আগামীতে কেউ যেন পাখি শিকার করতে না পারে, সে ব্যাপারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতা চাইলে যেন সঠিক সময়ে পাই।’

এ বিভাগের আরো খবর