বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সংবিধান রক্ষায় আইন ও বিচার বিভাগকে সম্মিলিত কাজের তাগিদ রাষ্ট্রপতির

  •    
  • ১৭ ডিসেম্বর, ২০২২ ১৯:৪৫

রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বলেন, ‘ব্যক্তি, গোষ্ঠী ও দলীয় স্বার্থে সংবিধানের ব্যবহার কখনও শুভ হতে পারে না। বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট সংবিধানের রক্ষক। তাই সংবিধানের পবিত্রতা ও মর্যাদা অক্ষুণ্ন রাখতে আইন ও বিচার বিভাগকে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে।’

সংবিধানের পবিত্রতা রক্ষায় আইন ও বিচার বিভাগকে সম্মিলিতভাবে কাজ করার তাগিদ দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।

বাংলাদেশের সংবিধান ও সুপ্রিম কোর্টের ৫০ বছর পূর্তিতে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এক অনুষ্ঠানে তিনি এই তাগিদ দেন।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী। অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শ্রীলঙ্কার প্রধান বিচারপতি জয়ানথা জয়সুরিয়া ও আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।

রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বলেন, ‘ব্যক্তি, গোষ্ঠী ও দলীয় স্বার্থে সংবিধানের ব্যবহার কখনও শুভ হতে পারে না। বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট সংবিধানের রক্ষক। তাই সংবিধানের পবিত্রতা ও মর্যাদা অক্ষুণ্ন রাখতে আইন ও বিচার বিভাগকে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে।

‘বিচার বিভাগ ও আইনজীবীদের এ ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা রাখতে হবে। সংবিধানবিরোধী যেকোনো তৎপরতা ও চক্রান্ত রুখে দিতে জনগণকে সজাগ থাকতে হবে। গণতন্ত্রের চর্চা যত বাড়বে সংবিধানের কার্যকারিতা ও মর্যাদাও তত বেশি বৃদ্ধি পাবে।’

রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘রক্তক্ষয়ী স্বাধীনতাযুদ্ধের পরপরই দেশে শুরু হয় সংবিধান প্রণয়নের কাজ। দেশের আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা ও নাগরিকের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করতে সংবিধানই হলো মূলভিত্তি। স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালের ২৩ মার্চ রাষ্ট্রপতি গণপরিষদ আদেশ ১৯৭২ জারি করেন। উক্ত আদেশের মাধ্যমে সংবিধান প্রণয়নের লক্ষ্যে ১৯৭০ সালের পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচনে নির্বাচিত জাতীয় পরিষদের ১৬৭ জন ও প্রাদেশিক পরিষদের ২৮৮ সদস্যকে নিয়ে গণপরিষদ গঠিত হয়। ১০ এপ্রিল পরিষদের প্রথম অধিবেশনে ৩৪ সদস্যের একটি খসড়া সংবিধান প্রণয়ন কমিটি গঠন করা হয়।

‘সংবিধান প্রণয়নের সময় কমিটি জাতীয় পর্যায়ের বিভিন্ন আন্দোলনের দলিলপত্র ও আন্তর্জাতিক বহু দলিল বিবেচনায় নিয়েছিল। তাই ৭২-এর সংবিধান ছিল সর্বজনীন। ১২ অক্টোবর গণপরিষদের দ্বিতীয় অধিবেশনে খসড়া সংবিধান বিল আকারে উত্থাপন করা হয়। বিলটি উত্থাপনের পর এর ওপর গণপরিষদে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।’

তিনি বলেন, ‘১৯৭২ সালের ৪ নভেম্বর গণপরিবষদে বাংলাদেশের সংবিধান গৃহীত হয়। ১৪ ও ১৫ ডিসেম্বর গণপরিষদের সদস্যগণ হাতে লেখা সংবিধানের মূল কপিতে সই করেন এবং ১৬ ডিসেম্বর থেকে তা কার্যকর হয়। হাতে লেখা সংবিধানে প্রথম সই করেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং ৭১ নম্বর ক্রমিকে সই করি আমি নিজে। এটা আমার জন্য পরম সৌভাগ্য ও গর্বের বিষয়।

‘এখানে আরও বলতে চাই, এখানে উপস্থিত আছেন আমার শ্রদ্ধেয় ড. কামাল হোসেন, ব্যারিস্টার আমীর-উল ইসলাম এবং অধ্যাপক আবু সাইয়িদ। তারা শুধু এই গণপরিষদের সদস্যই ছিলেন না, আমার যতটুকু মনে পড়ে, ড. কামাল সাহেব ছিলেন ওই কমিটির চেয়ারম্যান। ব্যারিস্টার আমীর-উল ইসলাম সাহেব ছিলেন অত্যন্ত প্রভাবশালী একজন সদস্য।’

রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘এ ছাড়া আমার জানামতে, এই তিনজন এখানে আজকে উপস্থিত আছেন। আর পার্লামেন্টে আছেন আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, ইমাজ উদ্দিন প্রামাণিক, রাজিউদ্দিন আহমেদ এই পাঁচজন। আর একজন আছেন রাফিয়া আক্তার ডলি তিনি কীভাবে আছেন তা জানি না। এই ছয়জন আর এখানে তিনজন আর আমাকেসহ ১০। আর বাকিদের খবর আমি জানি না। তারা বেঁচে আছেন না, মারা গেছেন তা বলতে পারব না। এই ১০ জন আমরা এখনও বেঁচে আছি।

‘এত অল্প সময়ে জাতিকে সংবিধান উপহার দেয়া বঙ্গবন্ধুর এক অনন্য কৃতিত্ব। জাতির পিতা সংবিধানে একটি স্বাধীন বিচার বিভাগ প্রতিষ্ঠার কথা উল্লেখ করেছিলেন যেখানে সুপ্রিম কোর্ট ও অধস্তন আদালতসমূহ নিজ নিজ এখতিয়ার ও সীমার মধ্যে স্বাধীনভাবে আইন অনুসারে বিচারকাজ পরিচালনা করবে।’

এ বিভাগের আরো খবর