নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে গ্যাস সিলিন্ডার লিকেজ থেকে আগুনে একই পরিবারের দুই শিশুসহ চারজন দগ্ধ হয়েছেন। উপজেলার গোলাকান্দাইল ইউনিয়নের ডওহরগাঁও এলাকায় শনিবার সকালে এই ঘটনা ঘটে। দগ্ধ চারজনকে রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে।
দগ্ধরা ওই এলাকার পোশাক কারখানার শ্রমিক মো. জাহিদ হাসান, তার স্ত্রী রুমা বেগম, মেয়ে লাবনী আক্তার ও ছেলে মো. ইয়াসিন।
জাহিদ হাসানের বাড়ি ফরিদপুর জেলার নগরকান্দা উপজেলায়। রুমা বেগম পেশায় গৃহিণী। লাবনী স্থানীয় বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণি ও তার ভাই ইয়াসিন দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী।
রূপগঞ্জ থানার ভুলতা ফাঁড়ির পুলিশ পরিদর্শক মাহবুবুর রহমান এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন৷
ঘটনা বিষয়ে স্বজনরা জানান, সেখানকার একটি দ্বিতীয় তলা বাড়ির নিচ তলায় পরিবার নিয়ে ভাড়া থাকেন জাহিদ। প্রতিদিনের মতো শনিবার সকাল ৬টার দিকে রুমা রান্না ঘরে যান। রান্নাঘরে দিয়াশলাই জ্বালাতেই হঠাৎ আগুন জ্বলে উঠে। ওই সময় তার চিৎকার শুনে এগিয়ে যাওয়া স্বামী ও দুই সন্তানও দগ্ধ হন। পরে তাদের ডাক চিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে আসেন৷’
প্রত্যক্ষদর্শী আবুল কাশেম বলেন, ‘রান্নার জন্য দিয়াশলাই জ্বালালে হঠাৎ আগুনে তারা দগ্ধ হন। তাদের চিৎকার শুনে ঘরে গিয়ে উদ্ধার করে বার্ন ইনস্টিটিউটে নিয়ে ভর্তি করা হয়।’
ভুলতা ফাঁড়ির পুলিশ পরিদর্শক মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘সিলিন্ডারের লিকেজ থেকে গ্যাস বের হয়ে রান্নাঘরে জমে ছিল। ওই নারী রান্নার জন্য দিয়াশলাই জ্বালানোর পর ঘরে আগুন ধরে যায়।
দগ্ধ অবস্থা দুই শিশুসহ চারজনকে রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে।’
দগ্ধদের বিষয়ে জানতে চাইলে বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক স্বাস্থ্য কর্মকর্তা এসএম আইউব হোসেন বলেন, ‘দগ্ধদের মধ্যে জাহিদ হাসানের শরীরের ২৯ শতাংশ, রুমার ২৩ শতাংশ, লাবনীর ২২ শতাংশ ও ইয়াসিনের ১০ শতাংশ পুড়ে গেছে।’