সীমান্ত হত্যা বন্ধে বিভিন্ন সময় প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারতের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে, চলছে। এরই ধারাবাহিকতায় সীমান্ত হত্যা কমেছে বলে দাবি করেছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ-ভারত বৈঠকগুলোতে সীমান্তের নানা ইস্যুতে সব সময় কথা হয়। এরই মধ্যে দেশের সিটমহলগুলো কিছুদিন আগে বিনিময় হয়েছে। সম্প্রতি ভারতের দিল্লিতে হওয়া বৈঠকে দুই রাষ্ট্রই সীমান্তে হত্যা শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনতে রাজি হয়েছে।
আমি নিজেও সীমান্তবর্তী একটি আসনের সংসদ সদস্য। পদ্মার ওপারে ভারত এপারে আমার নির্বাচনি এলাকা। সীমান্ত হত্যা বন্ধের চেষ্টা অব্যাহত রাখা রয়েছে।’
সীমান্ত হত্যা বন্ধে সেখানকার স্থানীয়দের সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার। তিনি বলেন, ‘দুই রাষ্ট্রের বিধিবিধান রয়েছে, যাতে ভিসা পাসপোর্ট ছাড়া কেউ যেন কোনো দেশে না যান। তবে তা কমছে না, তাই সমস্যার সমাধান সম্ভব হচ্ছে না।
তবু অঙ্কের হিসেবে সীমান্ত হত্যা কমে এসেছে। কিন্তু একটা মৃত্যুই অনেক। কারণ, আমরা সীমান্তে একটা মৃত্যুও চাই না। আশা করি সামনের দিনে সীমান্ত হত্যা শূন্যের কোঠায় আনা সম্ভব হবে।’
শনিবার দুপুরে লালমনিরহাট চার্চ অফ গড উচ্চ বিদ্যালয়ের ৭৫ বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় লালমনিরহাটের মোগলহাট স্থলবন্দর চালুর বিষয়ে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের সব যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেলেও পাকিস্তান-পরবর্তী সময় থেকে মোগলহাটের রেললাইনটি চালু ছিল। সেখান থেকে কয়লা আসত। দুই রাষ্ট্র মিলে পুরোনো যত যোগাযোগ পয়েন্ট রয়েছে সেগুলো পুনরায় চালু করার বিষয়ে কাজ চলছে। তবে সেখানে বিনিয়োগের প্রয়োজন।’
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমি লালমনিরহাট চেম্বারের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বসব। এখানকার ব্যবসায়ীদের আমদানি ও রপ্তানির চাহিদা বেশি থাকলে বন্দর দ্রুত চালু করা হবে।’
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মতিয়ার রহমান, লালমনিরহাট পৌরসভার মেয়র রেজার করিম স্বপন প্রমুখ। অনুষ্ঠানে সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান সুজন, চার্চ অফ গড উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সহিদার রহমানসহ শিক্ষক-কর্মচারী, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রায় পাঁচ হাজার সাবেক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।