আওয়ামী লীগের আসন্ন ২২তম জাতীয় সম্মেলনে বিএনপিকে আমন্ত্রণের ইঙ্গিত দিয়েছেন ক্ষমতাসীন দলটির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক।
শনিবার রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সম্মেলনের প্রস্তুতি পর্যবেক্ষণে এসে তিনি এ নিয়ে কথা বলেন।
বিএনপিকে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে আমন্ত্রণ জানানো হবে কি না- এমন প্রশ্নে সম্মেলনের মঞ্চ ও সাজসজ্জা উপকমিটির আহ্বায়ক নানক বলেন, ‘এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে আমাদের জানানোটাই স্বাভাবিক বলে মনে হয়। আমরা প্রতিবারই তাদেরকে আমন্ত্রণ জানিয়ে থাকি।’
এর আগে ২০১৬ সালে আওয়ামী লীগের ২০তম এবং ২০১৯ সালে ২১তম জাতীয় সম্মেলনে বিএনপিকে আনুষ্ঠানিক আমন্ত্রণ জানায় আওয়ামী লীগ।
২৪ ডিসেম্বর হতে যাওয়া সম্মেলনের প্রস্তুতি নিয়ে নানক বলেন, ‘ইতোমধ্যে মঞ্চ প্যান্ডেলসহ আনুষাঙ্গিক সব কিছু তৈরি করার দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। আমরা আশা করি আগামী ২১ ডিসেম্বরে মধ্যে পরিপূর্ণভাবে সমস্ত আয়োজন সম্পন্ন করতে পারবো।’
তিনি বলেন, ‘সম্মেলনের মাধমে যে নতুন নেতৃত্ব আসবে সেই নেতৃত্বের অধীনেই জাতীয় নির্বাচনের মধ্য দিয়ে শেখ হাসিনাকে চতুর্থবারে মতো প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত করে তার নেতৃত্বে নতুন স্বপ্ন স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলার অঙ্গীকার থাকবে।
‘আসন্ন সম্মেলনে আওয়ামী লীগের নতুন প্রত্যয়বাদ আসছে। আমরা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করবো।’
নানক বলেন, ‘বাংলাদেশের প্রাচীনতম ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ। প্রায় দীর্ঘ সময় ধরে দু দিনব্যাপী আমাদের কাউন্সিল সম্পন্ন হয়ে আসছিল। কিন্তু এবার কৃচ্ছ্বতা সাধনের জন্য খরচ কমানোর লক্ষ্যে দুই দিনের জায়গায় একদিন করার নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী এবং একদিনেই তা সম্পন্ন হবে।’
আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, ‘আওয়ামী লীগের কাউন্সিলকে সামনে ঢাকা শহরসহ সারা দেশ এক নতুন সাজে সজ্জিত করা হতো। কিন্তু এবার আমরা ঢাকা মহানগরসহ বাংলাদেশের কোথাও সাজসজ্জার দিকে যাচ্ছি না।
‘কিন্তু সাদামাটা করা হলেও লাখো লাখো আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী, কাউন্সিলর, ডেলিগেটরা আসবেন। তাদের উচ্ছ্বাসের কোনো ঘাটতি থাকবে না। সব আনন্দ উচ্ছ্বাস থাকবে এবং শেখ হাসিনসার নেতৃত্বে স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে নিয়ে এবারের কাউন্সিল অত্যন্ত অর্থবহ হবে। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে এবারের কাউন্সিল অত্যন্ত তাৎপর্য বহন করবে।’
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, সাংস্কৃতিক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, আইন সম্পাদক নজিবুল্লাহ হিরু, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আব্দুস সবুর, বন ও পরিবেশ সম্পাদক দেলোয়োর হোসেন, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য এবিএম রিয়াজুল কবির কাওসার, শাহাবুদ্দিন ফরাজী, সৈয়দ আবদুল আউয়াল শামীম, স্বেচ্চাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ উত্তর ও দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক এসএম মান্নান কচি, হুমায়ুন কবির প্রমুখ।