চুয়াডাঙ্গায় মৃদু শৈত্যপ্রবাহে বেড়েছে শীতের তীব্রতা। টানা তৃতীয় দিনের মতো শনিবারও জেলাটিতে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।
স্থানীয় আবহাওয়া অফিস জানায়, এ দিন চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্র ছিল ৯ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
ঘন কুয়াশা ও হিমেল হাওয়ায় জেলাজুড়ে বেড়েছে দুর্ভোগ। সন্ধ্যা গড়ালেই নেমে যাচ্ছে তাপমাত্রার পারদ। তীব্র শীতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ছে জনজীবন, কষ্টে আছেন খেটে খাওয়া ছিন্নমূল মানুষ।
তীব্র ঠান্ডায় দেখা দিচ্ছে শীতজনিত নানা রোগ, হাসপাতালে বাড়ছে ঠান্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে শিশুদের জন্য ১৫টি শয্যা বরাদ্দ থাকলেও কয়েক দিন ধরে ঠান্ডাজনিত নিউমোনিয়া, ব্রঙ্কাইটিস ও অ্যাজমা আক্রান্ত ৬০ থেকে ৭০টি শিশু ভর্তি হয়েছে। বহির্বিভাগেও চিকিৎসা নিচ্ছে শতাধিক শিশু।
সদর হাসপাতালের শিশু বিভাগে তিন দিন ধরে নাতিকে নিয়ে আছেন রহিমা বেগম। তিনি জানান, তার নাতির ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়া হয়েছে। চিকিৎসক বলছেন, আরও কয়েক দিন হাসপাতালে থাকা লাগবে।
হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. মাহবুবুর রহমান বলেন, তীব্র ঠান্ডায় শিশুদের রোগবালাই বেশি হচ্ছে। শীতে অভিভাবকদের সচেতন হতে হবে।
চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রকিবুল হাসান বলেন, গত দুই দিন জেলায় সারা দেশের মধ্যে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শনিবার সকাল ৯টায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গায় ৯ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
তিনি বলেন, এটিই চলতি মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। চলতি মৌসুমে তাপমাত্রা আরও কমতে পারে। মৃদু থেকে মাঝারি ও পরে তীব্র শৈত্যপ্রবাহে রূপ নিতে পারে।
চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান বলেন, জেলার চার উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তাদের কাছে ৭ হাজার কম্বল ও শীতবস্ত্র পাঠানো হয়েছে। ত্রাণভান্ডারে মজুত আছে আরও ২১ হাজার শীতবস্ত্র। খুব দ্রুত তা হতদরিদ্র শীতার্ত মানুষের মাঝে বিতরণ করা হবে।