বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

দেদার খাল-নদী দখল

  •    
  • ১৭ ডিসেম্বর, ২০২২ ১৩:১৩

লক্ষ্মীপুর শহরের শিক্ষক হারুনুর রশিদ মোল্লা বলেন, ‘রাজনৈতিক ও প্রভাবশালীর ছত্রছায়ায় অবৈধভাবে এসব খাল দখল করা হয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের দুনীর্তিবাজ কর্মকর্তাদের যোগসাজশে চলে দখল। তাই তারা ব্যবস্থা নেয় না।’

লক্ষ্মীপুরে রহমতখালী ও ডাকাতিয়া নদী এবং খালের জায়গা ভরাট করে বিভিন্ন স্থাপনা তৈরি করা হলেও ব্যবস্থা নিচ্ছে না প্রশাসন। অথচ পানি নিষ্কাষণের জায়গায় স্থাপনার কারণে শহরে হচ্ছে জলাবদ্ধতা।

সদর, রায়পুর, রামগতি, কমলনগর ও রামগঞ্জ উপজেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া রহমতখালী খাল, ডাকাতিয়া নদীর দুই তীরে শত শত অবৈধ স্থাপনা দেখা যায়। এর মধ্যে আছে বহুতল ভবনও।

লক্ষ্মীপুর বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘রহমতখালী ও ডাকাতিয়া নদী ও খাল দিয়ে একসময়ে বড় বড় পালতোলা নৌকা, মালবাহী ট্রলার চলাচল করত। ভোলা-বরিশালসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ধান-চাল-গমসহ বিভিন্ন পণ্যসামগ্রী নিয়ে আসা-যাওয়া করতেন ব্যবসায়ীরা। দিন দিন খালগুলো ছোট হয়ে যাওয়ায় এখন আর তা হচ্ছে না।’

চন্দ্রগঞ্জ বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘খালের পানি দিয়ে সেচ দিয়ে পারে সবজি চাষ করতেন চাষিরা। সেসব খালের প্রায় সব এখন মৃত।’

লক্ষ্মীপুর শহরের শিক্ষক হারুনুর রশিদ মোল্লা বলেন, ‘রাজনৈতিক ও প্রভাবশালীর ছত্রছায়ায় অবৈধভাবে এসব খাল দখল করা হয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের যোগসাজশে চলে দখল। তাই তারা ব্যবস্থা নেয় না।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সরকারি সংস্থাটির লক্ষ্মীপুর কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী ফারুক আহমেদ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘দখলদারদের সঙ্গে কোনো কর্মকর্তার যোগসাজশ থাকলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে। কারা অবৈধভাবে খাল দখল করে স্থাপনা তৈরি করেছে, তাদের তালিকা করা হচ্ছে। এরপর উদ্ধার অভিযান চালানো হবে। কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।’

লক্ষ্মীপুর জজকোর্টের আইনজীবী মহসিন কবির মুরাদ বলেন, ‘রহমতখালী খালটি ছিল প্রায় দুই শ ফুট চওড়া। দখলের কারণে এখন সে খাল মাত্র ৩০ থেকে ৪০ ফুট। বোরো আবাদের সময়; অথচ খালে পানি নেই। এতে করে ধান চাষ করতেও অনেক সমস্যায় পড়তে হবে।

‘এ ছাড়া পৌরসভার বর্জ্য এখন খালে যাচ্ছে। ফলে দূষিত হচ্ছে পরিবেশ। দ্রুত এসব খাল উচ্ছেদ করে আগের অবস্থা ফিরিয়ে আনার দরকার।’

লক্ষ্মীপুর পৌরসভার মেয়র মোজাম্মেল হায়দর মাসুম ভূইয়া বলেন, ‘যেসব স্থানে খাল দখল হয়ে গেছে, সেগুলো উদ্ধারে কাজ করা হবে। যদি কেউ খালে বর্জ্য ফেলে, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

জেলা প্রশাসক আনোয়ার হোছাইন আকন্দ ভরাটের কথা স্বীকার করে বলছেন, ‘অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদে কাজ করছে প্রশাসন। ২৬টি খালকে দখলদারদের হাত থেকে উদ্ধারে অভিযান শুরু করা হবে।’

এ বিভাগের আরো খবর