বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

স্মৃতিসৌধে এবারও বিএনপির হুড়োহুড়ি

  •    
  • ১৬ ডিসেম্বর, ২০২২ ১৫:৫১

শহীদ বেদীতে ফুল দেয়াকে কেন্দ্র করে বিএনপি নেতা-কর্মীদের হুড়োহুড়িতে ভেঙে যায় তাদের শ্রদ্ধাঞ্জলির ফুলের ডালা। ধাক্কাধাক্কিতে বেদীতে উপুড় হয়ে কোনো রকমে নিজেকে সামলে নিতে দেখা যায় দলটির সিনিয়র নেতা-কর্মীদের। নারী নেত্রীরাও পড়েন চরম বেকায়দায়।

বিজয় দিবসে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের শ্রদ্ধা জানাতে এসে হুড়োহুড়ি আর বিশৃঙ্খলা যেন বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গী। ৫১ তম বিজয় দিবসে জাতীয় স্মৃতিসৌধে এসেও এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটে।

শহীদ বেদীতে ফুল দেয়াকে কেন্দ্র করে বিএনপি নেতা-কর্মীদের হুড়োহুড়িতে ভেঙে যায় তাদের শ্রদ্ধাঞ্জলির ফুলের ডালা। ধাক্কাধাক্কিতে বেদীতে উপুড় হয়ে কোনো রকমে নিজেকে সামলে নিতে দেখা যায় দলটির সিনিয়র নেতা-কর্মীদের। নারী নেত্রীরাও পড়েন চরম বেকায়দায়।

প্রতি বছর জাতীয় দিবসগুলোতে বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিশৃঙ্খলা নজরে আসে সবার।

শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে বিএনপির পক্ষে সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানাতে আসেন স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেনসহ দলটির সিনিয়র নেতারা।

এসময় বেদী পর্যন্ত যেতেই চরম বিশৃঙ্খলায় ধাক্কাধাক্কির কবলে পড়েন স্থায়ী কমিটির সদস্য আব্দুল মঈন খান, গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ও বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমানসহ সিনিয়র নেতারা।

বিএনপির সিনিয়র নেতা খন্দকার মোশাররফ হোসেন ও আব্দুল মইন খান পেছনের নেতা-কর্মীদের ধাক্কায় বেদীর উপর ঝুঁকে পড়েন৷ পরে বেদীতে দিতে আসা ফুলের ডালা ভেঙে যায়। সেই ভাঙা ফুলের ডালাই বেদীতে অর্পণ করেন তারা।

পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়েও চরম বিপাকে পড়েন বিএনপির সিনিয়র নেতারা।

স্মৃতিসৌধে আসা গোলাম রাব্বানী নামে এক দর্শনার্থী বলেন, ‘বিএনপির নেতাকর্মীরা স্মৃতিসৌধে প্রবেশের পরেই বিশৃঙ্খলা শুরু হয়। তাদের ধাক্কাধাক্কির কারণে আমি ও আমার সঙ্গীরা বেদীতে তখন যেতেই পারিনি। তারা চলে যাওয়ার পর শ্রদ্ধা জানিয়েছি। জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের শ্রদ্ধা জানাতে এসে এ ধরনের বিশৃঙ্খলা কাম্য না। গত বছরেও বিএনপির বিশৃঙ্খলার সময় অনেকের মোবাইল খোয়া গিয়েছিল। যেটা আমরা খবরে জানতে পেরেছি। এসব বিষয়ে কর্তৃপক্ষের আরও সজাগ থাকা উচিত। যাতে সাধারণ মানুষ নির্বিঘ্নে বিজয় দিবসে শহীদদের শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করতে পারে।’

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের এক গণমাধ্যমকর্মী ক্ষোভ জানিয়ে বলেন, ‘আমরা বিএনপির নেতাদের বক্তব্য ধারণ করতে গিয়ে চরম বিপাকে পড়েছি। বরাবরের মতো কোনো রকম শৃঙ্খলা তাদের ছিল না। নেতা-কর্মীদের স্লোগান আর ধাক্কাধাক্কিতে ক্যামেরাসহ মূল্যবান জিনিসপত্র নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকাটাও অসম্ভব হয়ে পড়েছিল। পরে আমরা প্রতিবাদ জানালে সিনিয়র নেতাদের নির্দেশে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হয়। তখন বক্তব্য ধারণ করি। এটা সত্যি দুঃখজনক।’

বাংলানিউজের স্টাফ রিপোর্টার সাগর ফরাজী নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সকাল থেকেই বিএনপি ও তার অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা ভিন্ন ভিন্ন মিছিল নিয়ে জাতীয় স্মৃতিসৌধে এসেছে। বিএনপির কেন্দ্রীয় দুই-একজন নেতা স্মৃতিসৌধ এলাকায় প্রবেশ করতেই শুরু হয় হুড়োহুড়ি। নেতারা স্মৃতিসৌধের বেদীতে যাওয়ার আগেই হট্টগোল শুরু হয়ে যায়।’

এ বিভাগের আরো খবর