বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ভিপি নুরের সমর্থকদের মারধর, ছাত্রলীগের অস্বীকার

  •    
  • ১৬ ডিসেম্বর, ২০২২ ১৫:২৮

যুব অধিকারের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি ইমদাদুল হক নিউজবাংলাকে বলেন, ‘শহীদ বেদিতে ফুলেল শুভেচ্ছা দেয়া হয় সকাল সাড়ে সাতটার দিকে। যাওয়ার পথে আমাদের নেতারা শুনতে পান ছাত্রলীগের কর্মীরা হামলা করতে পারে। তবু ভয় উপেক্ষা করে নেতা-কর্মীরা ফুলের ডালা নিয়ে শহীদ বেদিতে ফুলেল শুভেচ্ছা দেয়। শহীদ বেদি থেকে ফিরে আসার সময় নোমাণী ময়দান থেকে প্রায় ৩০-৪০ মিটার দূরে ছাত্রলীগের কর্মীরা আমাদের কয়েকজনকে ঘিরে ফেলে। হাতাহাতি করে নানা গালিগালাজ করে লাঠি দিয়ে মারধর।’

বিজয় দিবস উপলক্ষে মুক্তিযুদ্ধে বীর শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে মাগুরায় হামলার শিকার হয়েছেন গণঅধিকার পরিষদের নেতা-কর্মীরা।

শুক্রবার সকাল সাড়ে ৭টায় মাগুরা শহরের নোমাণী ময়দান এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নুরুল হক নুর সংঘঠনটির সদস্য সচিবদের দায়িত্বে রয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন গণঅধিকার পরিষদের ছাত্র সংঘঠন ছাত্র অধিকারের তিন নেতা। হামলার জন্য জেলা ছাত্রলীগকে দায়ী করেছে সংগঠনটি। তবে এ ঘটনাকে সম্পূর্ণ বানোয়াট উল্লেখ করে অস্বীকার করেছে জেলা ছাত্রলীগ।

আহতরা হলেন যুব অধিকার পরিষদের মাগুরা সদর উপজেলার সভাপতি মো. রাজিব মোল্ল্যা, ছাত্র অধিকার পরিষদের মাগুরা জেলার সভাপতি মো. এজাজ আহম্মেদ ও ছাত্র অধিকারের মাগুরা সদর উপজেলা শাখার সভাপতি মো. আরিফ বিল্লাহ।

জানা গেছে, ভিপি নুরের রাজনৈতিক সংগঠন গণ অধিকারের পক্ষ থেকে যুব ও ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতা-কর্মীরা সকাল সাড়ে ৭টায় নোমানী ময়দানে শহীদ বেদিতে ফুলেল শুভেচ্ছা জানাতে যায় বলে জানান যুব অধিকারের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি ইমদাদুল হক।

তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘শহীদ বেদিতে ফুলেল শুভেচ্ছা দেয়া হয় সকাল সাড়ে সাতটার দিকে। যাওয়ার পথে আমাদের নেতারা শুনতে পান ছাত্রলীগের কর্মীরা হামলা করতে পারে। তবু ভয় উপেক্ষা করে নেতা-কর্মীরা ফুলের ডালা নিয়ে শহীদ বেদিতে ফুলেল শুভেচ্ছা দেয়। শহীদ বেদি থেকে ফিরে আসার সময় নোমাণী ময়দান থেকে প্রায় ৩০-৪০ মিটার দূরে ছাত্রলীগের কর্মীরা আমাদের কয়েকজনকে ঘিরে ফেলে। হাতাহাতি করে নানা গালিগালাজ করে লাঠি দিয়ে মারধর করে এবং আহত করে।’

ছাত্রলীগ অভিযোগ করে যে আমাদের স্লোগান নাকি সরকারের বিরুদ্ধে এবং স্থানীয় সংসদের বিরুদ্ধে ছিল। আসলে এটা মিথ্যা কথা। আমাদের নেতা-কর্মীরা দলীয় স্লোগানই দিয়ে আসছিল। সরকার বা কারো বিরুদ্ধে কোন কিছু আমাদের স্লোগানে ছিল না।’

কেন্দ্রীয় এই নেতা অভিযোগ করেন ছাত্রলীগের যারা আমাদের নেতাদের মেরেছে তারা ছাত্রলীগের জেলা কমিটির সহসভাপতি আশিকুল ইসলাম বনির নেতৃত্বে বলে আমরা জানতে পেরেছি। ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের শাস্তি দাবি করেন এই নেতা।’

অভিযোগের বিষয়ে মাগুরা জেলা ছাত্রলীগের সহ সভাপতি আশিকুল ইসলাম বলেন, ‘এটা পুরোটাই মিথ্যা অভিযোগ তারা দিয়েছে। আমি সেখানেই ছিলাম না। ঘটনা থেকে অনেক দূরে আমার অবস্থান ছিল। পরে শুনেছি ঐ সংগঠনের লোকেরা প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে স্লোগান দিয়ে ফুলেল শুভেচ্ছা দিতে এসেছিল। এজন্য আমাদের কিছু ছোট ভাইদের সঙ্গে তাদের বাগবিতণ্ডা এবং হাতাহাতি হতে পারে।’

এতে মারাত্মক কিছু হয়নি বলে তিনি দাবি করেন।

এ বিষয়ে মাগুরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতারা ফুলেল শুভেচ্ছা দিয়েছে কিন্তু আমি শুনেছি প্রধানমন্ত্রী ও স্থানীয় সংসদ সদস্য সাইফুজ্জামান শিখর সাহেবের বিরুদ্ধে শ্লোগান দিয়েছে তারা। কিছু স্থানীয় ছেলেদের সঙ্গে তাদের কিল-ঘুষির ঘটনা ঘটে এবং একজনকে ডিবির হাতে তুলে দেয় তারা। সে এখন সদর থানার পুলিশ হেফাজতে আছে। স্যারদের সঙ্গে কথা বলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

এ বিভাগের আরো খবর