বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

৫১ বছরেও শহীদদের পরিচয় শনাক্ত না হওয়া দুর্ভাগ্যজনক: সাকি

  •    
  • ১৬ ডিসেম্বর, ২০২২ ১৩:১২

‘রাষ্ট্রের কর্তব্য হচ্ছে সব শহীদের পরিচয় শনাক্ত করা, তাদের পরিবারের যে মর্যাদা ও অধিকার সেগুলোকে নিশ্চিত করা। এই কাজ ৫১ বছরে হয়নি। এ নিয়ে রাজনীতি চলে। কিন্তু আসল কাজটি কেউই করে না।’

মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদ হওয়া ৩০ লাখ কিংবা তারও বেশি মানুষের এতদিনেও পরিচয় শনাক্ত করতে না পারাকে দুর্ভাগ্য বলে মন্তব্য করেছেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি।

শুক্রবার সকাল ১১টার দিকে মহান বিজয় দিবসে সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের পর সাংবাদিকদের কাছে এ মন্তব্য করেন তিনি।

জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘৩০ লাখ মানুষ কিংবা ততোধিক মানুষ এই মুক্তিযুদ্ধে শহীদ হয়েছেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় হলো রাষ্ট্র তাদের শুধু একটা সংখ্যা বানিয়ে রেখেছে। এই মানুষগুলো রক্ত মাংসের মানুষ ছিলেন। তারা লড়াই করেছেন। তাদের পরিবার আছে। তাদেরও স্বপ্ন ছিল।

‘রাষ্ট্রের কর্তব্য হচ্ছে সব শহীদের পরিচয় শনাক্ত করা, তাদের পরিবারের যে মর্যাদা ও অধিকার সেগুলোকে নিশ্চিত করা। এই কাজ ৫১ বছরে হয়নি। এ নিয়ে রাজনীতি চলে। কিন্তু আসল কাজটি কেউই করে না।’

তিনি বলেন, ‘১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের স্পষ্ট ঘোষণা ছিল বাংলাদেশের নাগরিকদের জন্য সাম্য, মানবিক ও মানবিকতার সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করবে এই রাষ্ট্র। ৫১ বছর পরে এসে আমরা দেখছি, রাষ্ট্রের বাহিনীগুলো মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নিচ্ছে। রাতের বেলা তারা ভোটের বাক্স ব্যালটে ভর্তি করছে।

‘কাজেই আজকে স্বাধীনতার এত বছর পরে এসে ওই যে মুক্তিযুদ্ধের ঘোষণা, বাংলাদেশ তার বিপরীত স্রোতে চলছে। মুক্তিযুদ্ধে এই লাখো শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে আমাদের আজকের কর্তব্য হচ্ছে আবার নতুন করে জাগরিত হয়ে আমাদের অধিকার প্রতিষ্ঠার লড়াইকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। সেটা করতে হলে আমাদের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে লক্ষ্যকে সামনে রেখে সব মানুষকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।’

জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা করতে গেলে রাষ্ট্রের ক্ষমতার ভারসাম্য ও জবাবদিহি না এনে সেটা আমরা পারব না। কাজেই ভারসাম্য প্রতিষ্ঠা ও জবাবদিহি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যকে সামনে রেখে, রাষ্ট্রকে গণতান্ত্রিক করার লক্ষ্যকে সামনে রেখে, ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার লড়াইকে সামনে রেখে সারা দেশের মানুষের মধ্যে এক ব্যাপক গণজাগরণ দরকার। বৃহত্তর ঐক্য দরকার।

‘সেই লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি। অচিরেই জনগণের মধ্যে সেই বৃহত্তর ঐক্য গড়ে উঠবে এবং এই ফ্যাসিবাদী, কর্তৃত্ববাদী সরকারকে বাধ্য করবে জনগণের দাবি মেনে নিতে। সেই লড়াইয়ে সবাইকে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে আজকের এই বিজয়ের দিনে আমরা শপথ নিচ্ছি। আমরা এই লড়াই চালিয়ে যাব।’

এ সময় তার সঙ্গে দলীয় নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

এ বিভাগের আরো খবর