মহান মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ী হলেও তা সুসংহত করার পথে সাম্প্রদায়িকতার অপশক্তিকে বড় বাধা হিসেবে দেখছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। এই সাম্প্রদায়িকতাকে রুখে দেয়া বিজয়ের দিনের অঙ্গীকার মানছেন তিনি।
একাত্তরে পরাজয়ের প্রতিশোধ নিতে বিএনপির নেতৃত্বে দেশে বিশৃঙ্খলার চেষ্টা, সাম্প্রদায়িকতা ও অশান্তির উসকানির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বানও জানান আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ এই নেতা।
বিজয় দিবসে শুক্রবার সকালে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে আওয়ামী লীগের পক্ষে শ্রদ্ধা জানিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘দীর্ঘপথ পাড়ি দিয়ে ৫১তম বিজয় বার্ষিকী আজকে আমরা উদযাপন করছি। নেপোলিয়ন বোনাপার্ট বলেছিলেন, আমরা বিজয়ী হয়েছি, কিন্তু বিজয়কে সংহত করতে পারিনি। কাজেই আমাদেরও আজকে আত্ম-জিজ্ঞাসার দিন, আমরা বিজয়কে কতটা সংহত করতে পেরেছি।’
বিজয়কে সুসংহত করার পথে সাম্প্রদায়িক শক্তিকে অন্তরায় হিসেবে দেখছেন ক্ষমতাসীন দলের এই নেতা।
কাদের বলেন, ‘এই বিজয়টা সংহত করার পথে, বিজয়কে কাজে লাগানোর পথে সবচেয়ে বড় অন্তরায় এখনও রয়ে গেছে সাম্প্রদায়িকতার বিষবৃক্ষ। এই বিষবৃক্ষকে আমাদের উৎপাটন করতে হবে।
‘স্বাধীনতার শত্রুরা আর সাম্প্রদায়িক শক্তি বিএনপির পৃষ্ঠপোষকতায় বাংলাদেশে যে বিশৃঙ্খলা, যে অশান্তির উসকানি দিচ্ছে এবং বিজয়কে নস্যাৎ করে ৭১-এর পরাজয়ের প্রতিশোধ নিতে আজকে তারা অশুভ তৎপরতা চালাচ্ছে।’
এই অপতৎপরতার বিরুদ্ধে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান এই জ্যেষ্ঠ রাজনীতিক।
তিনি বলেন, ‘আজ আমাদেরকে ঐক্যবদ্ধভাবে মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের শক্তিকে এই বিএনপির পৃষ্ঠপোষকতায় জঙ্গিবাদী, সাম্প্রদায়িক শক্তিকে পরাজিত করতে হবে এবং সম্পূর্ণভাবে পরাস্ত করতে হবে। এটা আজ আমাদের অঙ্গীকার।’