ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার মাইজবাগ ইউনিয়নের কবীর ভুলসোমা গ্রামের বাবুল নিজেকে জিনের বাদশা পরিচয় দিতেন। মধ্যরাতে ফোন দিয়ে রাতারাতি কোটিপতি বানানো ও স্বর্ণের পুতুল পাইয়ে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিতেন তিনি।
জেলার ধোবাউড়া উপজেলার বাগড়া গ্রামের শওকত আলী তার কথা বিশ্বাস করে বসেন। জিনকে ভোগ দেয়ার জন্য ছয় লাখ ৫০ হাজার টাকা তুলে দেন জিনের বাদশার হাতে। দুই দিন পরও কোটি টাকা এবং স্বর্ণের পুতুল না পেয়ে মামলা করেন তিনি। সেই মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছেন জিনের বাদশা বাবুল।
ঈশ্বরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাছিনুর রহমান বলেন, মধ্যরাতে ফোন দিয়ে ভয়ানক কণ্ঠে ব্যবসায়ী শওকত আলীকে ফাঁদে ফেলেন ল্যাংড়া বাবুল। তাকে ১২০ কোটি টাকা ও একটি স্বর্ণের পুতুল পাইয়ে দেবেন বলে লোভ দেখান।
সেই লোভে গত মঙ্গলবার ছয় লাখ ৫০ হাজার টাকা দেন শওকত। এরপর দুই দিন পেরিয়ে গেলেও টাকা ও স্বর্ণের পুতুল না পাওয়ায় প্রতারণার অভিযোগে বুধবার বাবুলের নামে মামলা করেন তিনি। ওই মামলায় প্রতারক বাবুলকে নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ওসি আরও বলেন, প্রতারণার অভিযোগে ২০২০ সালেও জিনের বাদশা বাবুলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। তার সঙ্গে আর কোনো চক্র কাজ করছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
মামলার বাদী শওকত আলী বলেন, বুঝতে পারিনি তিনি প্রতারক। তাই লোভে পড়েছিলাম। আমার মতো আর কেউ এসব প্রতারকের খপ্পরে পা বাড়াবেন না।