বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

পাথর গুঁড়া নয়, এসেছে ধুলা

  •    
  • ১৬ ডিসেম্বর, ২০২২ ০৯:০২

প্রথম দফায় ২১টি ট্রাকে ৪৫০ টন পাথরের ডাস্ট আনার পরই তা দেখে বন্দরের কাস্টমসের চার সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। সেই তদন্ত কমিটি পাথর গুঁড়ার বদলে ডাস্ট উল্লেখ করে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছিল। এক মাস ধরে ডাস্ট পড়ে আছে আখাউড়া স্থলবন্দরে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি করা সেই পাথর ডাস্টের ছাড়পত্র দিচ্ছে না কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। কারণ ভারত থেকে আমদানি হওয়ার কথা ব্রোকেন স্টোন বা চূর্ণ পাথর, তার বদলে আমদানি হয়েছে ২ হাজার ৭০০ টন পাথর ডাস্ট (ধুলা)।

প্রথম দফায় ২১টি ট্রাকে ৪৫০ টন পাথরের ডাস্ট আনার পরই তা দেখে বন্দরের কাস্টমসের চার সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। সেই তদন্ত কমিটি পাথর গুঁড়ার বদলে ডাস্ট উল্লেখ করে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছিল। এক মাস ধরে ডাস্ট পড়ে আছে আখাউড়া স্থলবন্দরে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত ১৩ নভেম্বর আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে প্রথমবারের মতো ২ হাজার ৭০০ টন চূর্ণ পাথর আমদানি করা হয়। তবে সেটি একবারে নয়, কয়েক দফায় ভারত থেকে এসে পৌঁছেছে আখাউড়া স্থলবন্দরে।

এই আমদানি করা পাথর কাজে লাগানো হতো আশুগঞ্জ নদীবন্দর থেকে আখাউড়া স্থলবন্দর পর্যন্ত মহাসড়ক উন্নয়নের কাজে। বন্দরের সিএন্ডঅ্যাফ এজেন্ট ‘মেসার্স খলিফা এন্টারপ্রাইজ’ এসব পাথর ডাস্টের কাস্টমসের ছাড়পত্র নিতে গিয়েই বাঁধে ঝামেলা। তদন্ত কমিটি পরীক্ষার-নিরীক্ষার পর পাথরগুঁড়া আনার কথা থাকলেও তার বদলে পাথরের ডাস্ট আনা হয়েছে জানিয়ে আটকে দেয় ছাড়পত্র। তাতে মিথ্যা ঘোষণা দিয়ে পাথর ডাস্টকে পাথরগুঁড়া হিসেবে আমদানি করায় ছাত্রপত্র না পেয়ে প্রতিদিনই বন্দর কর্তৃপক্ষকে মাশুল বাবদ প্রায় ৩৬ হাজার টাকা দিচ্ছে ভারতীয় আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান এফকনস ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড।

ভারত থেকে আমদানি হওয়ার কথা চূর্ণ পাথর, তার বদলে এসেছে পাথর ধুলা। ছবি: নিউজবাংলা

এদিকে আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে চূর্ণ পাথর বা ডাস্ট আমদানির অনুমতি না থাকায় ভারতীয় আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান এফকনস ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেডকে আগামী ১০ দিনের মধ্যে কারণ দর্শাতে বলা হয়। সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট খলিফা এন্টারপ্রাইজকেও একই চিঠি দেওয়া হয়। সিএন্ডএফের মালিক হলেন আখাউড়া পৌরসভার মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. তাকজিল খলিফা কাজল।

সিঅ্যান্ডএফ প্রতিনিধি নাসির উদ্দিন বলেন, ‘প্রথম দফায় যখন ৪৫০ টন পাথর ডাস্ট আনার পর বলা হয় পুরো ২ হাজার ৭০০ টন আনার পর কাস্টমস অনুমতি দেওয়া হবে। তবে এখন ব্যাপারটা পুরোটাই উল্টো। এখন বলা হচ্ছে, পাথরগুঁড়ার বদলে পাথর পেস্ট আনার অনুমতি নেই। তাতে পাথর আটকে থাকায় আমরা লোকসানের মুখে পড়েছি।’

এ ব্যাপারে আখাউড়া স্থলবন্দরের রাজস্ব কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, ‘তদন্ত করে আমদানি করা পণ্য পাথরের ডাস্ট হিসেবে পাওয়া গেছে। এ ধরনের পণ্য আমদানির অনুমতি নেই। এখন এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ যথাযথ ব্যবস্থা নেবেন। দ্রুত এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেওয়া হবে।’

এ বিভাগের আরো খবর