বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বিজয়ের দিনে স্মৃতিসৌধে রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

  •    
  • ১৬ ডিসেম্বর, ২০২২ ০৮:৩৬

শ্রদ্ধা নিবেদনের অংশ হিসেবে মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের স্মরণে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর একটি সুসজ্জিত চৌকস দল তখন রাষ্ট্রীয় সালাম জানায়। বিউগলে বেজে ওঠে করুণ সুর।

মহান বিজয় দিবসে সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে জাতীয় স্মৃতিসৌধে স্বাধীনতা যুদ্ধে বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

মহান বিজয় দিবসে শুক্রবার ভোর সাড়ে ৬টার দিকে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধের শহীদ বেদিতে ফুলেল শ্রদ্ধা জানান রাষ্ট্রপতি ও সরকারপ্রধান।

পৌষের ভোরে কুয়াশার চাদর চিড়ে পূর্ব আকাশে লাল রঙা সূর্যটি আভা ছড়াতেই শহীদ বেদির দিকে এগিয়ে যান রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী।

শ্রদ্ধা নিবেদনের অংশ হিসেবে মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের স্মরণে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন তারা। সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর একটি সুসজ্জিত চৌকস দল তখন রাষ্ট্রীয় সালাম জানায়। বিউগলে বেজে ওঠে করুণ সুর।

শ্রদ্ধা নিবেদনের আনুষ্ঠানিকতা শেষে পরিদর্শন বইয়ে সই করেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।

এরপর আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে দলের সভাপতি হিসেবে দলীয় নেতাদের নিয়ে আরও একবার শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান শেখ হাসিনা।

মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রীর নেতৃত্বে শ্রদ্ধা জানাতে আসেন উপস্থিত বীরশ্রেষ্ঠ পরিবার, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও বীর মুক্তিযোদ্ধারা। পরে বাংলাদেশে অবস্থানরত বিদেশি কূটনীতিক, মিত্রবাহিনীর সদস্য, বিভিন্ন রাজনৈতিক-সামাজিক সংগঠনসহ সর্বস্তরের মানুষ পুষ্পস্তবক অর্পণ করে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।

বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা

এদিকে মহান স্বাধীনতা দিবসে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

জাতীয় স্মৃতিসৌধ থেকে ফিরে রাজধানীর ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন তিনি।

মহান স্বাধীনতা দিবসে ধানমন্ডিতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি:নিউজবাংলা

১৯৭১ সালের এই দিনে পরাধীনতার শৃঙ্খল ভেঙে চূড়ান্ত বিজয় অর্জন করে বাঙালি জাতি। পৃথিবীর মানচিত্রে স্বাধীন ভূখণ্ড হিসেবে অস্তিত্ব জানান দেয় বাংলাদেশ। চির অহংকারের লাল-সবুজের বিজয় নিশান উড়ানোর দিন আজ।

৯ মাসের দুঃস্বপ্নের অবসান ঘটিয়ে বাঙালি জাতির জীবনে আসে নতুন প্রভাত। ১৬ ডিসেম্বর সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে সূচিত হয় মুক্তিযুদ্ধের অনিবার্য বিজয়। ৩০ লাখ শহীদের রক্ত আর লাখ লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে বিজয়ের মধ্য দিয়ে চূড়ান্ত মুক্তি ধরা দেয় বাঙালির জীবনে।

রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী

বিজয় দিবস উপলক্ষে আলাদা বাণী দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

লাখো শহীদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতার সুফল জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে হবে বলে উল্লেখ করেন রাষ্ট্রপতি।

তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে পরমতসহিষ্ণুতা ও পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধের সংস্কৃতি গড়ে তুলতে হবে।’

মুক্তিযুদ্ধের লক্ষ্য ও চেতনা বাস্তবায়নে নিজ নিজ অবস্থান থেকে আরও বেশি অবদান রাখতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান রাষ্ট্রপ্রধান।

মহান বিজয় দিবসে দেশ ও জাতিকে উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তোলার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন আবদুল হামিদ।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বাণীতে বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠাকে বাঙালির শ্রেষ্ঠতম অর্জন হিসেবে আখ্যায়িত করেন।

তিনি বলেন, ‘এই অর্জনকে অর্থবহ করতে স্বাধীনতার মহানায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব এবং মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে সবাইকে জানতে ও জানাতে হবে। প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা আমরা পৌঁছে দেব- বিজয় দিবসে এই হোক আমাদের অঙ্গীকার।’

বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের কাতারে উন্নীত হওয়ার প্রসঙ্গ তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘স্বাধীনতার পর বিগত ৫১ বছরে বাংলাদেশের যা কিছু অর্জন তা জাতির পিতা ও আওয়ামী লীগের হাত ধরেই হয়েছে। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, আমাদের এই উন্নয়নের গতিধারা অব্যাহত থাকলে বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশ ২০৪১ সালের মধ্যেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত ও উন্নত সমৃদ্ধ স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশে পরিণত হবে।’

এ বিভাগের আরো খবর