বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

পিটার হাসের আচরণ শিষ্টাচারবহির্ভূত: ২৯ বিশিষ্টজনের বিবৃতি

  •    
  • ১৬ ডিসেম্বর, ২০২২ ০০:০৫

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘এই আচরণ ভিয়েনা কনভেনশনের পরিপন্থি। এর মধ্য দিয়ে তিনি বাংলাদেশের একটি রাজনৈতিক দলের পক্ষভুক্ত হলেন কি না- এ নিয়ে দেশের জনগণের মনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।’

মায়ের কান্না নামের একটি সংগঠনের স্মারকলিপি না নিয়ে এড়িয়ে যাওয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের কড়া সমালোচনা করেছেন দেশের বিশিষ্ট ২৯ ব্যক্তি।

বৃহস্পতিবার দেয়া এক বিবৃতিতে পিটার হাসের এ আচরণকে কূটনৈতিক শিষ্টাচারবহির্ভূত বলেও অভিহিত করেছেন তারা।

বিবৃতিতে বলা হয়, ‘ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাস ১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে সাবেক ছাত্রদল নেতা সাজেদুল ইসলাম সুমনের শাহীনবাগের বাসায় যান। সেখান থেকে তিনি বেরিয়ে আসার পর মায়ের কান্না নামের একটি সংগঠনের সদস্যরা তাদের দাবির একটি স্মারকলিপি দিতে গেলে তিনি তাদের কথা না শুনে এড়িয়ে যান।’

পিটার হাসের এ আচরণকে বিবৃতিদাতারা কূটনৈতিক শিষ্টাচারবহির্ভূত বলে আখ্যা দিয়েছেন।

তারা বলেছেন, সাবেক সামরিক শাসক জিয়াউর রহমানের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ এনে একটি স্মারকলিপি বুধবার রাজধানীর শাহীনবাগে পিটার হাসকে দিতে গিয়েছিল মায়ের কান্না নামের সংগঠনটি ।

১৯৭৭ সালের ২ অক্টোবর বিদ্রোহ দমনের নামে বিমান বাহিনীর সহস্রাধিক সদস্য গুমের ঘটনায় জিয়াউর রহমানের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ আনা হয় স্মারকলিপিতে।

বিবৃতিতে তারা বলেন, ‘এই আচরণ ভিয়েনা কনভেনশনের ( ১৯৬১) পরিপন্থি। একই সঙ্গে এ ধরনের আচরণ কূটনৈতিক দায়িত্বের পর্যায়ে ফেলা যায় কি না, নাকি এর মধ্য দিয়ে তিনি বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে সরাসরি জড়িয়ে পড়লেন। এর মধ্য দিয়ে তিনি বাংলাদেশের একটি রাজনৈতিক দলের পক্ষভুক্ত হলেন কি না এ নিয়ে দেশের জনগণের মনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।’

এতে আরও বলা হয়, সামরিক শাসক জিয়াউর রহমানের শাসনামলে ‘সেনাবিদ্রোহ’ দমনের নামে শত শত সেনা সদস্যকে বিনা বিচারে হত্যা করা হয়েছিল। ১৯৭৭ সালের ৯ অক্টোবর থেকে মাত্র কয়েক দিনে ১১০০ থেকে ১৪০০ সেনা সদস্যকে কারাগারের ভেতরে গণহারে ফাঁসি দেয়া হয়েছিল।

ওই হত্যাকাণ্ডের ন্যায়বিচার নিশ্চিতের দাবিতে সেসব শহীদ পরিবারের সদস্যরা সংগঠিত হয়েছেন ‘মায়ের কান্না' নামের একটি সংগঠনের ব্যানারে।

বিশিষ্টজনরা বলেন, ‘গতকাল (বুধবার) পিটার হাস তাদের কাছ থেকে স্মারকলিপি গ্রহণ করলে কেউ তাকে পক্ষপাতপূর্ণ আচরণের দায়ে অভিযুক্ত করতে পারত না।’

যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূতের আচরণকে দুঃখজনক ও অনভিপ্রেত বলেও উল্লেখ করেছেন বিশিষ্ট নাগরিকরা।

বিবৃতিদাতাদের মধ্যে রয়েছেন- আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, রফিকুন নবী রনবী, হাশেম খান, মিজানুর রহমান, নাসরীন আহমাদ, মীজানুর রহমান, আনোয়ার হোসেন, সহিদ আখতার হোসেন, এম অহিদুজ্জামান, ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী, আবদুল মান্নান, এ মামুন, শরীফ এনামুল কবির, আব্দুল বায়েস, অজিত কুমার মজুমদার, ফারজানা ইসলাম, সনৎ কুমার সাহা, চৌধুরী জুলফিকার মতিন, মলয় কুমার ভৌমিক, আব্দুল খালেক, অরুণা বিশ্বাস, ইকবাল সোবহান চৌধুরী, সাইফুল ইসলাম, আবুল কালাম আজাদ, শ্যামল দত্ত, ওমর ফারুক, সোহেল হায়দার চৌধুরী, ইমদাদুল হক মিলন ও এনামুল হক চৌধুরী।

এ বিভাগের আরো খবর