একাত্তরে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মধ্য দিয়ে এ দেশের আপামর জনতার ছিনিয়ে আনা বিজয়ের দিন ১৬ ডিসেম্বরকে স্মরণ করল জাতিসংঘ। বাংলাদেশের ৫১তম বিজয় দিবসে শুভেচ্ছা জানিয়েছে বিশ্ব সংস্থাটি।
বৃহস্পতিবার ঢাকায় জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক গুইন লুইসের পাঠানো বিবৃতিতে এই শুভেচ্ছা জানানো হয়।
লুইস বলেন, ‘অসাধারণ পথপরিক্রমায় এই দেশ যুদ্ধবিধ্বস্ত ও ক্ষুধাপীড়িত নতুন এক দেশ থেকে আজকের অবস্থানে এসেছে। জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্র হিসেবে এই দেশ এখন স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে।
‘মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হওয়ার অনেক আগেই মানব উন্নয়ন ও দুর্যোগ মোকাবেলায় বাংলাদেশের অর্জন অন্যান্য দেশের জন্য অনুকরণীয় উদাহরণ হয়েছে। প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়েছে বাংলাদেশ।’
বিবৃতিতে বলা হয়, জাতিসংঘ উন্নয়ন অ্যাজেন্ডা ও বিশ্বজুড়ে শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশও অবদান রেখে চলেছে। বাংলাদেশও বহুপাক্ষিকতা, জলবায়ু ন্যায্যতা ও স্বল্পোন্নত দেশগুলোর স্বার্থে জোরদার প্রচার চালিয়ে যাচ্ছে।
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ ১৯৯৯ সালে বাংলাদেশের উত্থাপিত শান্তি-সংস্কৃতি প্রস্তাব সর্বসম্মতিক্রমে গ্রহণ করেছে। বাংলাদেশের প্রচারের কারণেই জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ ২০০৮ সালে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের স্বীকৃতি দিয়েছে।
অভ্যন্তরীণভাবে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর অধিকার রক্ষায় বাংলাদেশ প্রচার চালিয়ে যাচ্ছে এবং এ দেশের সংবিধানে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হয়ে উঠতে দেশটির সংকল্পের প্রতিফলন ঘটেছে, যেখানে মৌলিক মানবাধিকার, সবার স্বাধীনতা ও মর্যাদা এবং সব মানুষের মূল্যায়ন নিশ্চিত হবে।
বাংলাদেশের জন্মলগ্ন থেকেই এই দেশ ও জনগণের অংশীদার হিসেবে জাতিসংঘ কাজ করে যাচ্ছে। ১৯৭১ সালে ইউএনএইচসিআর-এর কার্যক্রমের মাধ্যমে জাতিসংঘের এই অংশীদারত্ব শুরু। এখন এ দেশে ২২টি জাতিসংঘ সংস্থা কাজ করছে।
স্বাধীনতার ৫১তম বার্ষিকীতে জাতিসংঘ অংশীদার হিসেবে বাংলাদেশের পাশে আছে এবং দেশ-বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশের সব নাগরিককে জানাচ্ছে বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা।
সবাইকে বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা।