চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় চিকিৎসার ন্যূনতম কোনো ডিগ্রি ছাড়াই নিজেকে শিশু বিশেষজ্ঞ পরিচয় দিয়ে আসছিলেন মো. সেলিম। শিশুসহ সব বয়সের রোগীকে অ্যান্টিবায়োটিক দিতেন নির্দ্বিধায়। তার এক আত্মীয় জানান, সেলিম অষ্টম শ্রেণী পাশও করেননি।
অবশেষে ধরা পড়েছেন সেলিম নামের ওই ভুয়া চিকিৎসক। জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর অভিযান চালিয়ে তাকে ধরে অর্থদণ্ড দিয়েছে।
বৃহস্পতিবার বেলা ৩টার দিকে উপজেলার মুন্সিগঞ্জ এলাকায় তার ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে অভিযান চালানো হয়। সেখানে হাতেনাতে ধরা পড়েন সেলিম।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক সজল আহমেদ এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ‘বিকেলে আলমডাঙ্গার মুন্সিগঞ্জ বাজারে সার-কীটনাশক, ফার্মেসি, শিশুখাদ্য ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালানো হয়। এ সময় মদনবাবুর মোড়ে মেসার্স সোহাগ ফার্মায় মো. সেলিম নামের এক ভুয়া চিকিৎসকের সন্ধান পাওয়া যায়। তিনি ওই ফার্মেসির মালিক।
‘সেলিমের কোনো মেডিক্যাল সনদ নেই। চিকিৎসার কোনো অনুমতি না থাকলেও তিনি শিশু বিশেষজ্ঞ পরিচয় দেন। আট দিন বয়সী শিশু থেকে শুরু করে ছোট-বড় সবারই চিকিৎসা ও প্রেসক্রিপশন দিচ্ছেন। শিশুদের দিচ্ছেন অ্যান্টিবায়োটিকসহ বিভিন্ন ধরনের ওষুধ।
ভোক্তা অধিদপ্তর কর্মকর্তা সজল আহমেদ বলেন, ‘চিকিৎসার ন্যূনতম কোনো ডিগ্রি নেই সেলিমের। তাকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।’
ওই বাজারে মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ সংরক্ষণ ও বিক্রয়ের দায়ে সেবা ক্লিনিক নামে আরেকটি প্রতিষ্ঠানকে এক হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।অভিযানে সহযোগিতা করে মুন্সিগঞ্জ পুলিশ ক্যাম্পের একটি টিম।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মোহাম্মদ সেলিমের এক স্বজন জানান, সেলিম অষ্টম শ্রেণি পাশও করেননি। চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের এক চিকিৎসকের কম্পাউন্ডার হিসেবে কাজ করতেন তিনি। পরে এলাকায় ওষুধের দোকান দিয়ে চিকিৎসা শুরু করেন।