বিজয় দিবসে সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা নিবেদনকে ঘিরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর পক্ষ থেকে নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। আট দিন আগে স্মৃতিসৌধ এলাকায় দর্শনার্থীদের প্রবেশ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে স্মৃতিসৌধের আশপাশের এলাকার বাসিন্দাদের তথ্য চেয়ে ফরম দেয়া হয়েছে।
শেষপর্যায়ে মহড়া চলছে তিন বাহিনীর কুচকাওয়াজ ও মোটরসাইকেল শোভাযাত্রার। পাশাপাশি বিজয় উদযাপনে ধুয়ে-মুছে ও বাহারি ফুলে সাজিয়ে তোলা হয়েছে স্মৃতিসৌধ এলাকা।
স্মৃতিসৌধ এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, গণপূর্ত বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শ্রমিকদের কর্মব্যস্ততা। প্রায় এক মাস ধরে পানি দিয়ে পুরো স্মৃতিসৌধ এলাকা ধুয়ে পরিষ্কার করা হয়েছে। বাগানগুলোতে বাহারি ফুলের চারা লাগিয়ে বাড়ানো হয়েছে শোভা। লাল রঙের টব বসানো হয়েছে পুরো স্মৃতিসৌধ এলাকায়। পায়ে হাঁটার লাল ইটের পথগুলো সাদা রঙে শুভ্র করে তোলা হয়েছে। আলোকসজ্জা ও সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপনের কাজও শেষ। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও নিরাপত্তার জন্য গত আট দিন ধরে স্মৃতিসৌধ এলাকায় দর্শনার্থীদের প্রবেশ বন্ধ ছিল।
বিজয় দিবস উদযাপনে সাজানো হয়েছে জাতীয় স্মৃতিসৌধ। ছবি: নিউজবাংলা
সাভার গণপূর্ত বিভাগের উপসহকারী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান জানান, বিজয় দিবস উদযাপনের জন্য দুই মাস ধরে কাজ করছি আমরা। শতাধিক শ্রমিক এই কাজে নিয়োজিত। এরই মধ্যে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতাসহ সৌন্দর্যবর্ধনের কাজ শেষ। পুরো স্মৃতিসৌধ এলাকা লাল-সবুজ বাতিতে সাজিয়ে তোলা হয়েছে।
১৬ ডিসেম্বরের প্রথম প্রহরে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা নিবেদনের পর সবার জন্য স্মৃতিসৌধ উন্মুক্ত করে দেয়া হবে বলে জানান তিনি।
স্মৃতিসৌধ এলাকার নিরাপত্তাব্যবস্থা পরিদর্শন করেছেন ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার মো. আসাদুজ্জামান। এ সময় তার সঙ্গে জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বিজয় দিবস উদযাপনে সাজানো হয়েছে জাতীয় স্মৃতিসৌধ। ছবি: নিউজবাংলা
পুলিশ সুপার স্মৃতিসৌধের সার্বিক নিরাপত্তার বিষয়ে বলেন, বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে স্মৃতিসৌধের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। আমিনবাজার থেকে স্মৃতিসৌধ এলাকা পর্যন্ত তিন স্তরের নিরাপত্তায় কাজ করছে পুলিশ। সাদা পোশাকেও আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সদস্যরা কাজ করে যাচ্ছেন। বিজয় দিবস ঘিরে প্রায় সাড়ে তিন হাজার আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হবে।
তিনি জানান, স্মৃতিসৌধের আশপাশের এলাকার বাসিন্দাদের কাছে তথ্য চেয়ে ফরম দেয়া হয়েছে। আত্মীয়স্বজন কিংবা নতুন কেউ বাড়িতে এলে তাদের বিষয়ে নিকটস্থ থানায় জানাতে বলা হয়েছে।