সারা দেশে একযোগে রাতের তাপমাত্রা কমতে শুরু করেছে। নগরীতেও অনুভূত হচ্ছে শীতের প্রভাব। সেই সঙ্গে রয়েছে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা।
আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, এই সময়ে অর্থাৎ মধ্য ডিসেম্বর থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত রাজধানীতে তাপমাত্রা কমতে থাকে। শীতের অনুভূতি শুরু হয়। সেই সঙ্গে থাকে হালকা কুয়াশা।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ শরিফুন নেওয়াজ কবির নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ঢাকায় এখন শীত থাকবে। একই সঙ্গে দেশের উত্তরাঞ্চল ও দক্ষিণাঞ্চলেও শীতের প্রকোপ বাড়বে। এ সময়ে এমন কুয়াশা থাকা স্বাভাবিক।
তিনি বলেন, ‘আজ দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গাতে ১১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।’
রাজধানীর গাবতলীতে বৃহস্পতিবার সকালে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলছে যানবাহন। ছবি: আজহারুল ইসলাম/নিউজবাংলা
আবহাওয়া অধিদপ্তরের এক মাস মেয়াদি পূর্বাভাসে বলা হয়েছিল, মধ্য ডিসেম্বরের পরে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ অনুভূত হতে পারে। এই বিষয়ে এই আবহাওয়াবিদ জানান, আমরা আর কিছুদিন পর্যবেক্ষণ করে শৈত্যপ্রবাহ নিয়ে সুনির্দিষ্ট করে বলতে পারব।
অগ্রহায়ণ শেষের মধ্য দিয়েই সারা দেশে শীত যেন জেঁকে বসতে চাইছে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত দেশের সব জেলায় তাপমাত্রা কমে ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে এসেছে। এ সময় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল তেঁতুলিয়ায় ১২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস আর রাজধানীতে ছিল ১৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল টেকনাফে ৩০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
রাজধানীর গাবতলীতে বৃহস্পতিবার সকালে মাঝারি ধরনের কুয়াশার মধ্যে অপেক্ষায় যাত্রী। ছবি: আজহারুল ইসলাম/নিউজবাংলা
আবহাওয়া পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে, এর বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। উপমহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ বিহার এবং আশপাশের এলাকায় অবস্থান করছে।
অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। শেষরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। সারা দেশে রাতের তাপমাত্রা এক থেকে দুই ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা খানিকটা কমতে পারে।