রাজধানীতে দাঁড়িয়ে থাকা কাভার্ড ভ্যান ও বাসের চাপায় মোহাম্মদ সাঈদ আহমেদ নামে শিশুর মৃত্যু হয়েছে। বুধবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। তাকে আহত অবস্থায় দ্রুত উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আনা হয়। পরে সন্ধ্যা ৭টার দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক শিশুটিকে মৃত ঘোষণা করেন।
শিশুটিকে হাসপাতালে নিয়ে আসে খালাতো ভাই আরিফ হোসেন। তিনি বলেন, ‘গত সোমবার হাজারীবাগ চোদ্দটুলি সিটি কোয়ার্টারে আমার বোনের বিয়ে হয়। বুধবার জামাইয়ের বাড়ি থেকে আমার বোনকে নাইওর নিতে ৪০ জন মেহমান নিয়ে রিজার্ভ বাসযোগে অনুষ্ঠানে আসি।’
তিনি আরও বলেন, ‘অনুষ্ঠান শেষে হাজারীবাগ বিজিবি এক নম্বর গেটে মোড়ের সামনে থাকা বাসে সবাই উঠছিলেন। তখন আমার ছোট ভাই সাঈদ বাসে উঠে জানালা দিয়ে মাথা বের করে রেখেছিল। ওই সময় ঘোরানোর সময় কাভার্ড ভ্যানকে বাসটি হালকা চাপা দেয়।
তবে ছোট ভাই সাঈদ বাসের জানালার বাইরে মাথা রাখায় গুরুতর আঘাত পায়। তার মুখমণ্ডল এবং মাথায় গুরুতর আঘাত লাগে। পরে দ্রুত ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে এলে চিকিৎসক তাকে ঘোষণা করেন।’
আরিফ জানান, সাঈদের বাড়ি কুমিল্লার হোমনা উপজেলার রামকৃষ্ণপুর গ্রামে। তার বাবার নাম খলিল মিয়া। দুই ভাই ও এক বোনের মধ্যে সে দ্বিতীয়। সে স্থানীয় কিন্ডারগার্টেনে চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।
ঢামেক পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মোহাম্মদ বাচ্চু মিয়া বলেন, ‘হাজারীবাগ বিজিবি এক নম্বর গেটে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত এক শিশুকে ঢামেক হাসপাতালে আনা হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ ঢাকা মেডিক্যাল মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি হাজারীবাগ থানাকে জানানো হয়েছে।’