বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

স্যার, একটু বাইরে আসবেন...

  •    
  • ১৪ ডিসেম্বর, ২০২২ ২২:১৮

‘স্যার, একটু বাইরে আসবেন’ নাটকে ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বরে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও দেশীয় রাজাকার আলবদর কর্তৃক এ দেশের সূর্যসন্তান ও বুদ্ধিজীবীদের তুলে নিয়ে নারকীয় হত্যাকাণ্ডের চিত্র ফুটিয়ে তোলা হয়। 

শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবসে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) নাট্যকলা বিভাগের পরিবেশনায় ‘স্যার, একটু বাইরে আসবেন?’ শীর্ষক নাটক প্রদর্শিত হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের একাত্তরের গণহত্যা ও মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি ভাস্কর্যের পাদদেশে এই নাটকের প্রথম প্রদর্শনী হয়। বেলা সাড়ে ১২টায় মুজিব মঞ্চে দ্বিতীয় প্রদর্শনী ও বিকেল ৩টায় শান্ত চত্বরে তৃতীয় প্রদর্শনী হয়।

নাটকে অংশ নেয়া শিক্ষার্থীরা জানান, নাটকটিতে ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বরে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও দেশীয় রাজাকার আলবদর কর্তৃক এ দেশের সূর্যসন্তান ও বুদ্ধিজীবীদের তুলে নিয়ে নারকীয় হত্যাকাণ্ডের চিত্র ফুটিয়ে তোলা হয়।

এ সময় উপস্থিত দর্শকরা নাটকটি দেখে আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়েন।

নাট্যকলা বিভাগের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে মঞ্চস্থ নাটকটি যৌথভাবে নির্দেশনা দিয়েছেন বিভাগের প্রভাষক রুবাইয়া জাবিন প্রিয়তা এবং কৃপাকণা তালুকদার।

নির্দেশনার দায়িত্বে থাকা রুবাইয়া জাবিন প্রিয়তা বলেন, ‘আমাদের সৌভাগ্য আমরা এমন একটি দেশের নাগরিক যাদের মুক্তিযুদ্ধ নামের একটা অধ্যায় আছে। আমরা আমাদের ইতিহাস নিয়ে গর্ব করি।’

আরেক নির্দেশক কৃপাকণা তালুকদার বলেন, “১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তানদের ঘরে থেকে তুলে আনে তাদেরই পরিচিতরা। ‘স্যার, একটু বাইরে আসবেন?’ বলে খুব সাধারণভাবে এইসব বুদ্ধিজীবীদের ঘর থেকে বের করে পরবর্তীতে গুম এবং হত্যা করা হয়। ফেলে দেয়া হয় রায়েরবাজার ও মিরপুর বধ্যভূমিতে। সেই চিত্র তুলে ধরতেই আমরা এ নাটক মঞ্চস্থ করেছি।”

নাটকটির পোশাক পরিকল্পনায় ছিলেন নাট্যকলা বিভাগের প্রভাষক আফরিন হুদা তোড়া। নাট্যকলা বিভাগের অন্যান্য শিক্ষকদের সার্বিক সহযোগিতায় বিভাগের ৮ম ব্যাচের শিক্ষার্থীরা এই নাট্য প্রযোজনায় অংশ নেন। সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন বিভাগের চেয়ারম্যান শামস্ শাহরিয়ার কবি।

প্রদর্শনীর সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহমদ, শহিদ বুদ্ধিজীবী অধ্যাপক ডা. আলীম চৌধুরীর কন্যা ও বিশিষ্ট চক্ষু বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. নূজহাত চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।

এছাড়া বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. শাহজাহান, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ও শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আবুল হোসেন, আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক. এস. এম. মাসুম বিল্লাহ, লাইফ অ্যান্ড আর্থ সায়েন্স অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. মনিরুজ্জামান খন্দকার, ছাত্র-কল্যাণ পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. আইনুল ইসলাম, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. আবুল কালাম মো. লুৎফর রহমান, প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোস্তফা কামাল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এ বিভাগের আরো খবর